অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


দৌলতখানের ৫০ ট্রলার মাছ শিকারে সাগরে


দৌলতখান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩শে মে ২০২১ রাত ১০:৪১

remove_red_eye

৬৬৯

নিষেধাজ্ঞা অমান্য

দৌলতখান প্রতিনিধি : ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের অবাধ প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তর সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মেরিন ফিশারিজ অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী ২০ মে থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। বলবৎ থাকবে ২৩ জুন পর্যন্ত। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এরই মধ্যে দৌলতখানের ৫০ টি ট্রলার সাগরে প্রবেশ করে মাছ শিকার করছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
 সাগর থেকে ফেরা একটি ট্রলার রোববার দুপুরে দৌলতখানের পাতার খাল ঘাটে ভিড়লে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সেটি আটক করেন। বাকি ট্রলারগুলো স্ব স্ব এলাকায় রোববার (২৩ মে) পর্যন্ত ফিরে আসেনি। সমুদ্রগামী ট্রলার মালিক সমিতির এক কর্মকর্তা বলেন, আগামী দু’এক দিনের মধ্যেই ট্রলারগুলো সাগর থেকে ফিরে আসবে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সাগরে মাছ শিকাররত ৫০ ট্রলার সম্পর্কে কোন তথ্য জানা নেই বলে মৎস্য বিভাগ সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে একাধিক সূত্র থেকে অভিযোগ উঠেছে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সাগরে মাছ শিকার নির্বিঘœকরণে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে ম্যানেজ করতে ট্রলার প্রতি ২৫ হাজার টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করেছে দৌলতখানের ট্রলার মালিক সমিতির কর্মকর্তারা। সমিতির অধীনে সমুদ্রগামী ৭৫ টি ট্রলার রয়েছে। ট্রলার প্রতি ২৫ হাজার হিসেবে ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ট্রলার মালিক সমিতির সম্পাদক খায়রুজ্জামান ফয়সাল এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ২৫ হাজার নয়। মালিক সমিতির ফান্ড তৈরি করতে বাৎসরিক হিসেবে ২০ হাজার টাকা করে চাঁদা নেয়া হয়েছে। আপদ বা দুর্ঘটনায় এ টাকা মলিক ও জেলেদের কল্যানে ব্যয় করা হয়। উপজেলায় নদী ও সমুদ্রগামী মোট ২১ হাজার ৩৫৯ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। এর বাইরেও অন্তত ৫ হাজার মৌসুমী জেলে রয়েছে। মার্চ-এপ্রিল দু’মাস মেঘনায় ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ শিকার থেকে বিরত থাকায় প্রথম ধাপে উপজেলার ১১ হাজার ৯৬০ জন ও দ্বিতীয় ধাপে ১৩ হাজার ১৬০ জন জেলেকে (নদীর জেলে) ৪০ কেজি করে মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত চার মাস বিনা মূল্যে বিজিএফ চাল দেয়া হয়। যদিও জেলেদের অনেকের মনে চালের পরিমানে কারচুপি এবং জেলে নয় এমন লোকজনকে চাল দেয়ায় ক্ষোভ রয়েছে। অপরদিকে সাগরে মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে ১১ হাজার ৫৫৫ জন জেলেকে দেয়া হবে ৫৬ কেজি করে বিনা মূল্যের ভিজিএফ চাল।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সমুদ্রগামী জেলেরা জানান, তাদের জন্য ৫৬ কেজি করে চাল বরাদ্দ এলেও চেয়ারম্যান মেম্বাররা ২০-২৫ কেজির বেশি দেন না। এক প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাসনাইন জানান, নিষেধাজ্ঞাকালে জেলেদেরকে সাগরে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, গনমাধ্যম কর্মী ও জেলে প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রচার প্রচারণা এবং সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাগরে মাছ শিকার করলে সেখানে আমাদের কোন ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই