অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


লালমোহনে রোগী দেখতে যাওয়ায় মেম্বারের নেতৃত্বে হামলা,আহত-৪


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬ই মে ২০২১ রাত ০৯:২৮

remove_red_eye

৭৪৫



বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত রোগীকে দেখতে যাওয়ায়  জুয়েল মেম্বারের নেতৃত্বে   জনসমূখে দর্শনার্থী মোঃ রায়হান (৩৫), জাকির হোসেন (৪০), নার্গিস (২৫) ও বশির উল্লাহ মুন্সিকে (৫৫) পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে  প্রতিপক্ষরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। পরে  আহতদের উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রবিবার (১৬ মে) ভোর রাতে ভোলা সদর হাসপাতালে  স্থানান্তর করা হয়েছে।
আহতরা সবাই ভোলার লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের রায়রাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার (১৫ মে) রাতে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে  এ ঘটনা ঘটে।
আহত রায়হান ও জাকির হোসেন জানান, গত ৭ মে শুক্রবার দুপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাশর্^বর্তী  বাড়ির  আব্দুল বারেক ও তার ছেলে আল আমিন, জহিরুল ইসলাম, মেহেদী, নুরুল আমিন একত্রিত হয়ে বশির উল্লাহ মুন্সির ছেলে  সাইদকে হামলা চালায়। ছেলের ডাক চিৎকার শুনে বশির উল্লাহ মুন্সি এগিয়ে গেলে হামরাকারীরা তাকে মারধর করে তার দাত ফেলে দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বশির উল্লাহ মুন্সির স্বজনরা প্রতিবাদ করে। এতে প্রতিপক্ষরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে বশির উল্লাহ মুন্সি পক্ষকে খুন জখমের হুমকী দেয়। এতে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। পরে গতকাল বিকালে বাজার থেকে আসার পথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওৎ পেতে থেকে পথি মধ্যে তাদেরকে হামলা করে। এতে বশির উল্লাহ মুন্সির জামাই সুমন গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে লালমোহন স্বাস্থ্য কম্পেলেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে আহত সুমনকে হাসপাতালে দেখতে গেলে প্রতিপক্ষের আত্মীয় উপজেলার বদরপুর ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জুয়েলের নেতৃতে হামলা করা হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদশীরা। এতে জাকির,নার্গিস ও সুমন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে লালমোহন স্বাস্থ্য কম্পেলেক্্ের ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে রাতেই ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।  
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জুয়েলের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলেও ফোন বন্ধ থাকায় সম্ভব হয়নি তবে  প্রতিপক্ষরা তাদের একজন আহত হয়েছে বলে জানান এবং এ অভিযোগ অস্বীকার করেন । এ ব্যপারে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই গ্রæপের মারামারি ঘটনা শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে এ বিষয়ে কেউ এখন পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।