অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলার পশ্চিম ইলিশায় দুই গ্রুপের সংর্ঘষে নারীসহ পাঁচজন আহত


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ রাত ১০:০৭

remove_red_eye

৭৩৭

 

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলা সদর উপজেলার ০৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তঃসত্তা নারীসহ উভয় পক্ষের পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা ভোলা সদর হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার সকালে ইউনিয়নের ০১নং ওয়ার্ডের মালের হাট বাজার সংলগ্নে এই ঘটনা ঘটে।
সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ০১নং ওয়ার্ডের মালের হাট বাজার এলাকার নবী মাঝির ছেলে মোঃ জামাল মাঝির জমিতে অবৈধ বালু রেখে ব্যবসা করতেন স্থানীয় প্রভাবশালী লালমিয়া বাড়ই। জামালের জমিতে অবৈধ বালু রাখতে নিষেধ করেন জামাল মাঝি। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে ক্ষমতার দাপট দেখান লালমিয়া বাড়ই। এসময় জামাল ও লাল মিয়ার মধ্য কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে লাল মিয়া বাড়ই হামলা চালায় জামাল মাঝির উপর। জামাল মাঝিও উল্টো হামলা চালায় লাল মিয়া বাড়ইর উপর।
লাল মিয়া বাড়ইয়ের উপর হামলার খবর শুনে লাল মিয়া বাড়ইয়ের আত্মীয় মোঃ গিয়াসউদ্দিন, ওয়াসিম,আব্দুল রহমান সহ ১০/১৫ জন লোক এসে জামাল ও তার পরিবারের উপর হামলা চালায়।
হামলায় জামাল তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কুলছুম বিবি, মা আনোয়ারা বেগম, ছেলে আরিফ, প্রতিবেশী সুবিয়া খাতুন গুরুতর আহত হন।
আহত জামালের মেয়ে স্বপ্না জানান, লালমিয়া বাড়ই আমার বাবাকে লাঠি দিয়ে মারধর করে। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ করে লাল মিয়া বাড়ইয়ের কিছু লোক আমার বাবা, মা, দাদু ও আমার উপর হামলা চালায়। আমার মা কুলসুম বেগম সাত মাসের অন্তঃসত্তা। বাবাকে মারতে দেখে অসুস্থ মা এগিয়ে গেলে তাকেও চুলের মুঠোয় ধরে মাটিতে পেলে লাথি মারতে থাকে। মাকে মারতে দেখে আমার ছোট্ট ভাই কান্নাকাটি করতে থাকে। তখন আমার ছোট্ট ভাইকেও তারা ছিটকিয়ে পাশে থাকা পুকুরে ফেলে দেয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালের প্রেরণ করেন। এই বিষয়ে অভিযুক্ত লালমিয়া বাড়ই বলেন, স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ সোহেল থেকে বাৎসরিক ভাবে সোহেলের মাঠটি আমি বন্ধক রেখে সেখানে বালুর ব্যবসা করি। আমার বন্ধক জমিতে জামাল কলা গাছ রোপণ করেন। তখন আমি তাকে কলা গাছ সরিয়ে ফেলতে অনুরোধ করি এবং বলেছি স্থানীয় শালিসদার ব্যক্তিদেরকে বিষয়টি জানিয়ে মিমাংসা করে দিতে। কিন্তু জামাল আমার কোন কথা শুনেননি। উল্টো সে আমার সাথে ঝগড়া করতে থাকে। তখন উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারপিট হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ গিয়াস উদ্দিন জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে উভয় পক্ষ চিকিৎসাধীন রয়েছে। সুস্থ হলে উভয় পক্ষকে মিমাংসা করে দিবো।
এই বিষয়ে ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, দুই পক্ষই অভিযোগ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্তের জন্য ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রতন কুমারকে অবগত করা হয়েছে।