বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৫ই এপ্রিল ২০২১ রাত ১০:৫০
১১১
জুয়েল সাহা বিকাশ \ একের পর এক ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেলেও দুর্যোগপ্রবণ জেলা ভোলার মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আজও গড়ে ওঠেনি চাহিদা অনুযায়ী সাইক্লোন শেল্টার। গবাদি পশুর জন্য গড়ে ওঠেনি পর্যাপ্ত মুজিব কেল্লাও। কিছু কিছু আশ্রয়কেন্দ্র দূরবর্তী হওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের সময় ঝুঁকিতে থাকা ওইসব মানুষ বাড়ি ছেড়ে যেতে চান না।
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকা সাধারণ মানুষ বলছেন, আরও সাইক্লোন শেল্টার স্থাপিত হলে তারা ঘূর্ণিঝড়ের সময় নিরাপদে আশ্রয়ে থাকতে পারবেন এবং আরও কিছু মুজিব কেল্লা হলে গবাদি পশুকে নিরাপদে রাখতে পারবেন।
উপকূলীয় জেলা ভোলায় ২২ লাখ মানুষের বসবাস। এদের মধ্যে ৩০টি চরে বসবার করা প্রায় ৩ লাখ মানুষ প্রাকৃতিক ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও জোয়ারের পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে আছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষায় নিরাপদে আশ্রয়ের জন্য তাদের একমাত্র ভরসা সাইক্লোন শেল্টার।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) তথ্য মতে, ভোলার সাত উপজেলায় ৬৭৮টি সাইক্লোন শেল্টার ও ৫৯টি মুজিব কেল্লা রয়েছে। কিন্তু বিপুল সংখ্যক মানুষের নিরাপদে আশ্রয়ের জন্য দরকার দেড় থেকে ২ হাজারেরও অধিক সাইক্লোন শেল্টার এবং গবাদি পশুর নিরাপদে আশ্রয়ের জন্য দরকার ৩০০ মুজিব কেল্লা। ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি গ্রামের মেঘনা তীরবর্তী বাসিন্দা আবু কালাম বলেন, ‘আমরা নদীর পাড়ে অনিরাপদে থাকি। ঘূর্ণিঝড় ও জোয়ারের পানির হাত থেকে রক্ষার জন্য আমাদের একমাত্র নিরাপদ আশ্রয় হলো সাইক্লোন শেল্টার। ঘূর্ণিঝড়ের সময় মাইকিং করলে আমরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সাইক্লোন শেল্টারে গিয়ে আশ্রয় নেই। আবার বিপদ কেটে গেলে বাড়ি চলে আসি।’
দৌলতখান উপজেলার বিচ্ছিন্ন মদনপুর ইউনিয়নের চর মদনপুরের বাসিন্দা মো. ফয়েজ বলেন, ‘আমাদের বাড়ি থেকে সাইক্লোন শেল্টার অনেক দূরে হওয়ায় আমরা সাইক্লোন শেল্টারে যাই না। বাড়িতে থেকে সাবাই আল্লাহর নাম ডাকতে থাকি। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেন। চর মদনপুর ইউনিয়নের আবু মিয়া বলেন, ‘আমাদের বাড়ির পাশে একটা সাইক্লোন শেল্টার হয়েছে। কিন্তু আমাদের গ্রামের অনেক মানুষ বসবাস করেন। গত বছর ঘূর্ণিঝড়ের সময় আমাদের গ্রামের সবাই সাইক্লোন শেল্টার গিয়ে আশ্রয় নেই। অনেক গাদাগাদি হয়েছে। অনেক কষ্ট হয়েছে। আমরা চাই একই গ্রামে যেন আরেকটি সাইক্লোন শেল্টার স্থাপিত হয়।’ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা মো. জুলাস বলেন, ‘আমরা উপকূলীয় জেলায় বসবাস করছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আমাদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আরও সাইক্লোন শেল্টার ও গবাদি পশুকে নিরাপদে রাখার জন্য মুজিব কেল্লা স্থাপনের সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। সিপিপি’র উপ-পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, ‘আমরা ঘূর্ণিঝড়ের সময় মানুষকে কী কী করতে হবে এবং ঝড়ের সময় নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র সাইক্লোন শেল্টারে যাওয়ার জন্য মানুষকে সচেতন করে যাচ্ছি।উপকূলীয় জেলা ভোলায় বর্তমানে যে পরিমাণ সাইক্লোন শেল্টার ও মুজিব কেল্লা রয়েছে তা যথেষ্ট নয়। জেলার মানুষের নিরাপদের জন্য কমপক্ষে আরও সাইক্লোন শেল্টার ও মুজিব কেল্লা স্থাপন করা জরুরি। আমরা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।’
ভোলা-ল²ীপুর নৌ রুটে চলন্ত ফেরির পরিবহনে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তদন্ত শুরু
ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে চলছে নিষিদ্ধ ট্রলার
ভোলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
চাঁদ দেখা গেছে, বুধবার রোজা শুরু
ভোলায় নতুন আরো ২৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত
মনপুরায় নৌকার প্রচারনার অপরাধে হোন্ডা পুঁড়িয়ে দিল বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীরা
লালমোহন হাসপাতালে ডায়েরিয়া ও করোনা রোগী বৃদ্ধি
চরফ্যাশনে সরকারি হাসপাতালেই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি
দৌলতখানে সৎভাইদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত-৪
ভোলার ৪৩ এলাকা রেড জোন চিহ্নিত: আসছে লকডাউনের ঘোষনা
ভোলায় বাবা-মেয়ে করোনায় আক্রান্ত, ৪৫ বাড়ি লকডাউন
ভোলায় এবার কলেজ ছাত্র হত্যা, মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার
ভোলায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন করোনা রোগী: এলাকায় আতংক
ভোলার চরফ্যাশনে করোনা উপর্সগ নিয়ে এক নারীর মৃত্যু
ভোলায় কুপিয়ে হত্যা করে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, আটক এক
ভোলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আরো ১০ জন করোনা আক্রান্ত
ভোলায় ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আরও ৬ জনের করোনা শনাক্ত
ভোলায় বাল্যবিয়ে কথা বলে চাঁদাদাবী : আটক হলো ২ কথিত সাংবাদিক
ভোলায় হাসপাতালের টেকনিশিয়ানসহ আরও ৩ জন করোনায় আক্রান্ত