অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


বিএনপির ক্ষমতার আমলে লালমেহান ও তজুমদ্দিন ছিলো সন্ত্রাসী জনপথ —— তোফায়েল


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩রা ডিসেম্বর ২০১৯ রাত ০৯:২৮

remove_red_eye

৬৩১

লালমোহন প্রতিনিধি : ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, লালমোহনের মানুষ আমার জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। তারা ২০০১ সালে আমার নির্বাচন করায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের কাছে অনেক নির্যাতন ও অত্যাচার সহ্য করেছে। বিএনপি ক্ষমতার আমলে আওয়ামীলীগের অনেক নেতা-কর্মী এলাকায় আসতে পারেনি। বাড়ি-ঘর ছেড়ে তাদেরকে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে।
লালমোহন উপজেলার আওয়ামী লীগের আয়োজনে সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্ক মাঠে মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা লালমোহন উপজেলার আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে টেলি কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
লালমোহন উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে লালমোহন ও তজুমদ্দিনের মানুষের সেবা করার জন্য পাঠিয়েছে। তার নির্দেশে আমি আপনাদের পাশে রয়েছি।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির ক্ষমতার আমলে লালমেহান ও তজুমদ্দিন ছিলো সন্ত্রাসী জনপথ। সে জনপথকে আজ শান্তির জনপথে রুপান্তর করেছি। ভোলা-৩ আসনের মানুষ এখন শান্তি প্রিয়।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব।
এসময় নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনকে সভাপতি, ফখরুল আলম হাওলাদারকে সাধারন সম্পাদক করে আগামী ৩ বছরের জন্য ৭১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়।

অপর দিকে লালমোহনে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি মেজর (অব.) জসিম উদ্দিন ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ একেএম নজরুল ইসলাম। তাদের সম্মেলনের স্টেজে বসতে দেন আয়োজকরা। সাবেক এমপি মেজর (অব.) জসিম উদ্দিন সস্ত্রিক সম্মেলন স্থলে উপস্থিত হন। পরে মেজর (অব.) জসিমকে স্টেজে বসতে দেওয়া হয়।
সম্মেলনের মাঝখানে উপস্থিত হন সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ একেএম নজরুল ইসলাম। তাকেও স্টেজে বসতে দেওয়া হয় সামনের সারিতে। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওনের নাম প্রস্তাব করেন অধ্যক্ষ একেএম নজরুল ইসলাম। পরে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে লালমোহন পৌর সভা ও উপজেলার এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার নেতা-কর্মী, কাউন্সিলর-ডেলিকেটরা উপস্থিত ছিলেন।