অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


ভোলায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করে নির্যাতন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ রাত ০৯:০২

remove_red_eye

১৮৭০

বাংলার কন্ঠ প্রতিবেদক : ভোলায় নির্যাতনকারী ও প্রতারক স্বামীর বিচার দাবি করেছেন এক অসহায় গৃহবধূ( কলেজ ছাত্রী)। শনিবার ভোলা প্রেসক্লাবে ওই নারী তার প্রতারক স্বামীর বিচার দাবি করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের দিন মজুর পিতার মেয়ে সারমিন আক্তার উচ্চ মাধ্যমিক পড়া লেখা করা অবস্থায় নারায়নগঞ্জ সেন্টাল হাসপাতালে ওটি নার্স পদে চাকুরি নেন। ওই সময় ফোনালাপে পরিচয় হয় ভোলার শহরের গাজিপুর রোডের বেপারীদোকান এলাকার শিক্ষক মৃত ফরিদ উদ্দিনের ছেলে মেহেদী হাসান হিমেলের সঙ্গে। এর পর প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাকে ভোলায় নিয়ে আসে মেহেদী। এ বছরের ৩ ফেরুয়ারি পরাণগঞ্জ কাজির উপস্থিতিতে দুই লাখ টাকা দেনমহরনায় বিয়ে হয় তাদের। বিয়ে পর ৪ মাস বিভিন্ন স্থানে ঘরভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। পরে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে গেলে দেবর রিমন, শাশুড়িসহ তার স্বামী নির্যতন শুরু করে। কথায় কথায় মারধরও করে। দু মাস আগে ঢাকায় চাকুরি পেয়েছে বলে হিমেল তাকে নিয়ে ঢাকায় আসে। ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে বাসা ভাড়া করে থাকে। এ সময় সারমিনের স্বর্নালংকার, চাকুরির সুবাদে জমানো লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয় হিমেল। এক পর্যায়ে তাকে রেখে পালিয়ে আসে ভোলায়। খবর পেয়ে সারমিন ছুটে আসেন। এ সময় হিমেলে জানান সারমিনকে তালাক দিয়েছে। সারমিন সাংবাদিকদের জানান, বিয়ের পর ভোলায় বাসা ভাড়া করে থাকার সময় একদিন একটি ফরমে সাক্ষর করায় মেহেদী। ওই কাগজ দিয়েই এখন তালাকের ফরম পুরন করে বলে তাকে জানায়। এমন কি মেহেদীর বাড়িতে গেলে সারমিনকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। অপর দিকে সম্প্রতি ওই মেহেদী দৌলতখানে তথ্য গোপন করে ফের বিয়ে করেছে। এদিকে এসব ঘটনা উল্লেখ করে এলাকার পৌর কাউন্সিলরের কাছে বিচার দাবি করেন ওই নারী। পৌর কাউন্সিলর সালাউদ্দিন লিংকন জানান, তিনি মেহেদীকে ডেকে এনে কেন প্রতারনা করা হয়েছে জানতে চান। ওই সময় মেহেদী জানান ওই মেয়েকে তালাক দিয়েছেন। মহরনার টাকা ফেরত দেয় নি কেন জানতে চান। দুই দিনের সময় নিয়ে পালিয়ে যায় মেহেদী। ওই ছেলের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির ও অভিযোগ রয়েছে। এদিকে মেহেদীকে পাওয়া না গেলেও তার ভাইসহ স্বজনরা জানান, তারা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। কাউন্সিলর লিংকন ওই নারীকে থানায় গিয়ে মামলা করার পরার্মশ দেন বলেও জানান ।