অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ১লা নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


লালমোহনে অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাকে কেন্দ্র করে হামলায় আহত-৩


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ রাত ১০:৫১

remove_red_eye

৪১২


লালমোহন প্রতিনিধি : ভোলার লামোহন উপজেলার ফুলবাগিছা ৫নং ওয়ার্ডের আলতাফ হাওলাদার বাড়ির বাসিন্দা মোস্তাফিজের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় ৩ জন আহত হয়েছে। গত বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন চরফ্যাশ উপজেলার ওমরপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসীন্দা আহত নাজমার স্বামী ও নাহিয়ানের পিতা মো. ইব্রাহীম। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওই এলাকার আলতাফ হাওলাদার বাড়ি আমার শ্বশুর বাড়ি। ওই দিন আমার স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৯) ও ছেলে নাহিয়ান (১৪) কে নিয়ে তার পিতার বাড়ি বেড়াতে যায়। বিকাল ৩টার সময় আলতাফ হাওলাদারের ছেলে মোস্তাফিজ তার বাড়িতে লালমোহন পল¯œী বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ নেয়ায় সংশ¯œীষ্ট কর্তৃপক্ষের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে ওই অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। কিন্তু প্রতিপক্ষ মোস্তাফিজ ও তার পরিবারের লোকজনরা সন্দেহ করে বিদ্যুত কর্তৃপক্ষকে আমার শ্যালক তরিকুল অবৈধ সংযোগের বিষয়টি জানিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিয়েছে। এ সন্দেহে মোস্তাফিজ ও তার ছেলেরা আমার শ্বশুরের ঘরের সামনে এসে তরিকুলকে গালমন্দ করে। এসময় তরিকুল ঘরের উঠোনে আসলে মোস্তাফিজ ও তার ছেলে তাজ উদ্দিন শাহিন, মহসিন,সাকলাইন শাওন, আলকাছ হাওলাদারের ছেলে মোস্তাফিজ ও তার ভাই জসিম উদ্দিন বাচ্ছু এবং বাচ্ছুর ছেলে নাইম,মামুনসহ আরও ৫ থেকে ৬ জন মিলে তরিকুলকে দা’সেনি লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাথারি মারধর করে। এসময় আমার শ্বশুর আবদুল আজিজ আলমগীর তরিকুলকে উদ্ধার করতে আসলে তাকেও মারধর করে। পরে আমার ছেলে নাহিয়ান তাদের উদ্ধার করতে আসলে তাকেও মোস্তাফিজ ও তার ছেলেরাসহ অন্যান্যরা লাঠি দিয়ে মারধ করে একপর্যায়ে ধাড়ালো দা দিয়ে মাটিতে ফেলে হত্যার উদ্দেশ্যে জবাই করার চেষ্টা করে। এসময় আমার স্ত্রী নাজমা বেগম ছেলে নাহিয়ানকে উদদ্ধার করতে আসলে দায়ের আঘাতে তার হাত ও ছেলে গলা এবং ঘারে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানিয়রা খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে ৫দিনের চিকিৎসা শেষে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসি। তবে এঘটনায় লালমোহন থানায় এজহার জমা দিলেও পুলিশ তা তা রুজু করেনি বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী পরিবার।
লালমোহন থানার ওসি মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ করেছে। তবে ওই অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হয়েছে। অভিযোগটি আসলে মামলা রুজু করার মতো না। এছাড়াও তাড়া স্থানীয় সাংসদকে জানালে তিনি বিষয়টি সুষ্ঠু ফয়সালার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।