অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় আহলে হাদিসের মসজিদ নির্মাণ করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বিপাকে


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ রাত ০৯:৫৪

remove_red_eye

১৬৪৭

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলায় আহলে হাদিস অনুসারী এক মুক্তিযোদ্ধা মসজিদ নির্মান করে চরম বিপাকে পড়েছেন। মাসআলা মাসায়েলাকে কেন্দ্র করে একদল দুস্কৃতিকারী আহলে হাদিসের মসজিদ ভাংচুর করে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করায় মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারকে গুম করা সহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ পরিস্থিতি রবিবার দুপুরে অসহায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও আহলে হাদিস অনুসারীরা নিরাপত্ত¡া দাবী জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অপর দিকে ইসলাম বিরোধী আখ্যা দিয়ে আহলে হাদিসের কার্যক্রম বন্ধের দাবীতে ভোলা প্রেসক্লাবে সামনে ইমান আকিদা সংরক্ষন কমিটির আয়োজনে মানববন্ধনসহ বিক্ষোভ প্রর্দশন করা হয়। এ সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে প্রেসক্লাব চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়।
ভোলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা মো: নুর ই আলম জানান, ২০১৮ সনের ১ জানুয়ারী ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের উত্তর বাপ্তা ১ নং ওয়ার্ডে আহলে হাদিস অনুসারীরা ২৩ শতাংশ ওয়ার্কফ জমির উপর একটি মসজিদ নির্মান করে। মাসআলা মাসায়েলার বিষয় নিয়ে গত ২০১৮ সনের ১১ জুলাই এলাকার ছগির বাহিনীর নেতৃত্বে কতিপয় ব্যক্তি মসজিদে হামলা চালিয়ে ভাংচুর।ওই দিনই সন্ধ্যায় মসজিদের মালামাল লুট করে আগুনদিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয় মসজিদটি। এঘটনায় একটি মামলা দাখিল করা হয়। যার নং সি আর ৩৫৬/১৯। গত রমজান মাসে পিবিআই তদন্ত করার সময় মামলার আসামী সাহাবুদ্দিন সহ কয়েকজন মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা নুর ই আলমকে মারধর করে সাথে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনতাই করে। এই হামলার ঘটনায় মামলা করা হলে আসামী পক্ষ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তারা মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধার ছেলেকে একের পর এক হুমকির মুখে সে এখন এলাকায় থাকতে পারছেনা। আগামী ১ অক্টবর মামলার তারিখ বাদী পক্ষ যাতে আদালতে যেতে না পারে তার জন্য নানা রকম ভয়ভীতিসহ গুম করার হুমকি দিচ্ছে। এছাড়াও বাধার কারনে পুড়িয়ে দেয়া মসজিদটি এখন পুনরায় করতে পারছেন না বলেও জানান আহলে হাদিস অনুসারীরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে মসজিদটি পুনরায় নির্মানসহ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও মসজিদ কমিটির সদস্যরা নিরাপত্তা কামনা করে প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মুক্তিযোদ্ধা নুর ই আলম আরো জানান,এলাকার জাকির হোসেন কামলা,জামালের সাথে তাদের আর্থিক ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তারাই মূলত এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে এবং অপ্রচার করছে। সাংবাদিক সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কামরুল ইসলাম,আহলে হাদিস অনুসারী খারুল আলম,মনির হোসেন, মোশারেফ হোসেন প্রমুখ। অপরদিকে আহলে হাদিস অনুসারীদের সাংবাদিক সম্মেলন করার খবর পেয়ে তাদের ভোলার কার্যক্রম বন্ধের দাবীতে বেলা ১১ টার দিকে ভোলা ইমান আকিদা সংরক্ষন কমিটি প্রেসক্লাবের সামনে প্রায় ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করে ভোলায় আহলে হাদিসের কর্মকান্ড বন্ধের দাবী জানান। এ সময় বক্তব্য রাখেন মাওলানা আবদুল মমিন,মাওলানা গোলাম মোর্শেদ,মাওলানা তরিকুল ইসলাম,মাওলানা আতাউর রহমান,মাওলানা তাজউদ্দিন প্রমুখ।