অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ১লা নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


লালমোহন হাসপাতালে মিডওয়াইফের অবহেলায় ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ২০২১ রাত ০৯:৪৬

remove_red_eye

৪৪৫



লালমোহন  প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে দায়ীত্বরত মিডওয়াইফের অবহেলায় ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে এক ব্যবসায়ী।

বৃহস্পতিবার লালমোহন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লালমোহন মসজিদ মার্কেটের কম্পিউটার ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর রহমান জানান, গত ৩০ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২ টায় তার বড় ভাই কিশোরগঞ্জ গ্রামের মোঃ হানিফকে বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টোর কারণে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাকে ভর্তি করানোর পর আড়াইটার দিকে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তার ছেলে মোঃ নোমান কর্তব্যরত নার্স খুঁজতে থাকে। ৩য় তলায় কোন নার্স না পেয়ে দ্বিতীয় তলায় যায় সে। সেখানে গিয়ে দেখে মিডওয়াইফ তানিয়া মোবাইলে ফেসবুক দেখছে। তাকে নোমান বাবার শ্বাসকষ্টের তীব্রতার কথা জানালে মিডওয়াইফ তানিয়া কোন কর্ণপাত করেননি। তিনি ফেসবুকে ব্যস্ত থাকেন। পরে নোমান নিচ তলায় জরুরী বিভাগে গিয়ে ডাক্তার খুঁজতে থাকেন। ডাক্তারকে না পেয়ে সে এম্বুলেন্স খবর দিয়ে তার বাবাকে এম্বুলেন্সে উঠায় ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার জন্য। এসময় রোগীর ছাড়পত্র চাইলে তানিয়া দেয়নি। এর কিছুক্ষণ পরই এম্বুলেন্সে নোমানের বাবা মারা যায়। বাবার মৃত্যুতে নোমান মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে এবং শোকাহত হয়ে উত্তেজিত হয়। এসময় তানিয়ার সাথে অনাকাঙ্খিতভাবে কথাকাটাকাটি ও ভৎসনা করে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, স্থানীয় লোকজনসহ হাসপাতালের আরএমও ডাঃ মহসিন খানের মাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। কিন্তু মিডওয়াইফ তানিয়া নিজের দায় এড়ানোর জন্য নোমানের বিরুদ্ধে মামলা করে। মিডওয়াইফ তানিয়া জানান, নোমান তার কাছে আসলে তিনি ডাক্তারকে ফোন করেন। এরই মধ্যে সে তাকে আঘাত করে।