অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাশনে চেয়ারম্যানের ভাই ও ভাতিজা পা ভেঙ্গে দিলো দোকানীর!


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩০শে জানুয়ারী ২০২১ রাত ১০:০৭

remove_red_eye

৭১৫


চরফ্যাশন প্রতিনিধি : চেয়ারম্যানের ভাই ও ভাতিজা মিলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এতে মুদি দোকানিসহ দুই জন গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।শুক্রবার (২৯জানুয়ারি) রাতে চরফ্যাশন উপজেলার নজরুল নগর ইউনিয়নের দূর্গম অঞ্চল চর নলুয়া ¯¬æইসগেট বাজার এলাকায় মারধরের এ ঘটনা ঘটে।  উপজেলার নজরুল নগর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইব্রাহীম হাওলাদার (৫০) ও তার ছেলে সাইফুল হাওলাদার (২৩) ¯¬æইসগেট বাজারে তাদের হাওলাদার স্টোর নামের মুদি দোকানে সন্ধ্যায় বেচাকেনার সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদারের ভাই রিয়াদ,মাকসুদ ভাতিজা ইমনসহ আরও ৫/৬জন মিলে দোকানী ইব্রাহিম ও তার ছেলে সাইফুল হাওলাদারকে হকিস্টিক, লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারধর করে গুরুতর জখম করে বলে আহতের পরিবার অভিযোগ করেন।
চিকিৎসাধীন ইব্রাহীম হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, রুহুল চেয়ারম্যানের দুই ভাই এবং ভাতিজা প্রায় ৫০ থেকে ৭০ টি ছাগল পালন করে। এসব ছাগল বাজারে ও রাস্তাঘাটে ছেড়ে দিয়ে পালন করায় ¯¬æইসগেট বাজারে মানুষের দোকানপাট ও বাসা বাড়িতে গিয়ে গাছগাছালিসহ মুদি দোকান ও কাঁচা বাজারের দোকানে গিয়ে খাবার খেয়ে স্থানীয় জনসাধারণের ক্ষতি করে। সাইফুল হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার আগে চেয়ারম্যানদের ছাগল এসে দোকানের খাবারে মুখ দিলে আমি তাড়িয়ে দেয়ায় চেয়ারম্যানের ভাই রিয়াদ, মাকসুদ ও তার ভাই বাবুল হাওলাদারের ছেলে ইমনসহ ৫ থেকে ৬জন মিলে সন্ধ্যায় আমাদের দোকানে এসে হামলা করে। এসময় আমাকে ও আমার বাবা ইব্রাহিম হাওলাদারকে দাঁ সেনি ও লোহার রড লাঠিসোঁটা এবং হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে আমাদের আহত করে। এসময় আমার চোখে, মাথায় এবং ডান পায়ে রড ও দায়ের কোপসহ লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম হয়। এছাড়াও আমার বাবার বাম পায়ের গোড়ালি রড ও লাঠির আঘাতে ভেঙ্গে যায়। চেয়ারম্যানের প্রভাবে তার ভাই ও ভাতিজারা দূর্গম ওই এলাকায় একাধীক অপকর্মসহ ত্রাস সৃষ্টি করারো অভিযোগ করেন স্থানীয় একাধিক এলাকাবাসী।  এ অভিযোগ বিষয়ে জানতে রিয়াদকে একাধিকবার ফোন দিয়েও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার তার ভাই ও ভাতিজা কর্তৃক মারধরের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, উভয় পক্ষই মারামারির সাথে স¤পৃক্ত কিন্তু এক পক্ষ মার বেশি খেয়েছে। আহতদের দেখতে আমার ভাই ও ভাতিজা হাসপাতালে গিয়েছে। তাদের ডেকেছি তারা যদি আসে তাহলে স্থানীয়ভাবে বিষয়টির সুষ্ঠু সালিশ ফয়সালা করে দেয়া হবে।দক্ষিণ আইচা থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, এবিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।