অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় আলু ও বীজতলায় রোগ সংক্রমণের শঙ্কা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬শে জানুয়ারী ২০২১ রাত ০৯:৪০

remove_red_eye

৮৯৩



আকতারুল ইসলাম আকাশ :  ভোলায় অব্যাহত রয়েছে মৃদ্যু শৈতপ্রবাহ। দিনের কিছু সময়ের জন্য উঁকি দিচ্ছে সূর্য। অধিকাংশ সময় ঘন কুয়াশায় ঢাকা চারপাশ। কয়েকদিন ধরে কুয়াশার এমন প্রকোপে জনজীবনে যেমন দুর্ভোগ বেড়েছে তেমনি কৃষি কাজে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে আলু ও বীজতলায় রোগ সংক্রমণের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভোলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, ঘন কুয়াশা হলে এবং দিনে রোদ না হলে আলুর আবাদ ও বীজ তলায় রোগ সংক্রমণ বেড়ে যায়। এ বিষয়ে আগে থেকেই তৎপর আছে কৃষি বিভাগ। এ বিষয়ে কৃষকদের আগে থেকেই সাবধান করা হয়েছে।
ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চর সিতারাম গ্রামের কৃষক রফিক জানান, এবার তিনি আড়াই বিঘা জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার গাছ অনেক ভালোই ছিল। তবে কয়েকদিনের ঘন কুয়াশার কারণে গাছ কিছুটা নেতিয়ে পড়ছিল। তবে তিনি স্থানীয় ডিলারের পরামর্শে স্প্রে করছেন। এখন চারা ভালো আছে।
পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের চর আনন্দ পার্ট-৩ গ্রামের কৃষক সবুর মিয়া জানান, এবার ১৪ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন তিনি। আলু গাছে রোগবালাই কম দেখা দিয়েছে। তবে রোববার ও সোমবারের মতো কুয়াশা এক সপ্তাহ ধরে থাকলে আলু গাছে রোগবালায়ের আশঙ্কায় আছে।  
ভোলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের উপ- সহকারী হুমায়ূন আহম্মেদ জানান, কয়েকদিন থেকে ভালোই কুয়াশা পড়ছে। দিনে রোদের দেখাও তেমন মিলছে না। এসময়টায় আলুর ‘নাভিধসথ দেখা যায়। তবে তারা এবার আগে থেকেই তৎপর রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, কুয়াশা আলু ও বীজতলার কিছু ক্ষতি করে। এখন বীজতলাতেও বাড়তি পরিচর্যার প্রয়োজন। মাঠপর্যায়ে কৃষকদের এ বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক মাহাবুব উদ্দিন জানান, সামনে আবহাওয়া কেমন হবে তা বলা যাচ্ছে না। এ মৌসুমের সর্বোচ্চ কুয়াশা জানুয়ারির শনি, রবি ও সোমবার দেখা গেছে। ভোলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহের চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি আছে। এখন মূলত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ও সর্বনি¤œ তাপমাত্রার ব্যবধান ক্রমশ কমতে শুরু করেছে। এজন্য ভোলাসহ আশপাশের অঞ্চলে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।