অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


মনপুরায় স্বপ্নের আধা-পাকা ঘরের অপেক্ষায় দুই শত ছিন্নমূল পরিবার


মনপুরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০শে জানুয়ারী ২০২১ রাত ১০:৩২

remove_red_eye

৬৬৯




প্রধানমন্ত্রীর  বিশেষ উপহার


মনপুরা প্রতিনিধি : রিকশা চালিয়ে পরিবার-পরিজন লইয়া খাইতে কষ্ট হয়। বেড়ীর ঢালে ওয়াপদার জমিতে ঝুপড়ি ঘরে বাস করি, স্বপ্নে ভাবেনি পাকা ঘরে থাকুম বলে কেঁদে ফেলেন রিকসা চালক মাহবুব। দুই হাত তুলে দোয়া করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। শুধু মাহবুব নন সাব-রেজিস্টার অফিসে দীর্ঘদিন বুয়ার কাজ করা রহিমা বেগম, বিধবা পেয়ারা বেগমসহ দুইশত ভূমিহীন ও গৃহহীন ছিন্নমূল পরিবার স্বপ্নে ভাবেনি পাকা ঘরে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসাবে ভোলার বিচ্ছিন্ন মনপুরা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ২ শত পরিবারের জন্য নির্মান করা হচ্ছে স্থায়ী আবাসন। স্বপ্নের আধা-পাকা ঘরের অপেক্ষা উপকূলের ২ শত গৃহহীন ও ভূমিহীন ছিন্নমূল পরিবার।


জানা যায়,‘আশ্রয়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ এই প্রতিপাদ্যে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নে ৬৪ টি, ১ নং মনপুরা ইউনিয়নে ৫৩ টি, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নে ৪১ টি ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ৪২ টি ঘর সহ দুইশত পরিবারের জন্য সরকারি খাস জমিতে আধা-পাকা ঘর নির্মানের কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। বারান্দা, বাথরুম, রান্নাঘর সহ দ্ইু কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধা-পাকা ঘরের নির্মান ব্যায় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা। এছাড়াও প্রতিটি পাকা ঘরের জন্য প্রতিটি পরিবারকে ২ শতাংশ খাস জমির কবুলত রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার কাজ শেষ হয়ে গেছে।

এদিকে দুই দফা ১৫ ও ২০ জানুয়ারী উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৩ জানুয়ারী উদ্বোধনের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে পাকা ঘর তুলে দিবেন।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার হাজিরহাট, মনপুরা, উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে রাজমিস্ত্রী ও কাঠমিস্ত্রি দিন-রাত কাজ করছেন। ঘর নির্মানের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ইউএনও মোঃ শামীম মিঞা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা দিনে ও রাতে গিয়ে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। প্রতিটি ঘরের কাজ শেষ পর্যায়ে। কোথাও কাঠমিস্ত্রীরা টিনের চালায় লাল ও সবুজ রংয়ের টিন লাগাচ্ছেন। অপরদিকে রাজমিস্ত্রীরা দ্রæত গতিতে কাজ সম্পন্ন করার জন্য রাত-দিন কাজ করছেন।

এই ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস মিয়া জানান, প্রতিটি পরিবারের জন্য দুই শতক জমির মধ্যে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা ব্যায়ে আধা-পাকা ঘর প্রস্তুত করে দেওয়া হবে।


এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞা বলেন, ঘরের কাজ শেষ পর্যায়ে। প্রতিটি পরিবারের জন্য ২ শতাংশ খাস জমি কবুলত রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়েছে। দ্রæত কাজ শেষ করার জন্য দিন-রাত সবাই মিলে কাজ করে যাচ্চি। আল্লাহর রহমতে আগামী ২৩ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী ২ শত পরিবারে কাছে এই ঘর তুলে দিবেন।