বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১লা অক্টোবর ২০১৯ রাত ০৮:৫২
৭৬৮
হাসনাইন আহমেদ মুন্না : ভোলায় চলতি মৌসুমের আমন ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। ইতোমধ্যে টার্গেট ছাড়িয়ে ৩০৫ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। জেলার ৭ উপজেলায় আমনের মোট আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯৭৫ হেক্টর জমিতে। বিপরীতে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ২৮০ হেক্টর। এর মধ্যে উফশী রয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৪৯০ হেক্টর ও স্থানীয় জাত রয়েছে ৩১ হাজার ৭৯০। নির্ধারিত জমি থেকে ৪ লাখ ৫৭ হাজার ২৬৭ মে:টন চাল উৎপাদনের টার্গেট নেওয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এই অঞ্চলে আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভবাবনা রয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, জেলার ৭ উপজেলায় মোট আমন আবাদের মধ্যে সদরে ২৫ হাজার ৫৪০ হেক্টর, দৌলতখানে ১৬ হাজার ৫৪০, বোরহানউদ্দিনে ১৮ হাজার ৫০০, লালমোহনে ২৩ হাজার ৫০০, তজুমোদ্দিনে ১২ হাজার ৬০০, চরফ্যশনে ৭০ হাজার ৩৫০ ও মনপুরায় ১২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমি রয়েছে। আর গত বছর আমন আবাদ করা হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে। যা চলতি বছরে ২০৫ হেক্টর বৃদ্ধি পেয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মনোতোশ সিকদার কে বলেন, ভোলা দ্বীপ জেলা হওয়াতে প্রকৃতিগত কারণে এখানে একটু দেড়িতে ফসল ফলানো হয়। তাই এবছর বর্ষা মৌসুমের প্রথম দিকে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কৃষকরা বিলম্ব করে বীজতলা তৈরি করেছে। আগষ্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে এখানে আমন আবাদ কার্যক্রম শুরু হয়ে সেপ্টেম্বরের শেষ দিক পর্যন্ত চলেছে।
তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে কৃষকদের সারিবদ্ধ চারা রোপণ, সুসম মাত্রায় সার প্রয়োগসহ সব ধরনের পরামর্শ সেবা প্রদাণ অব্যাহত আছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারিতে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলবে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় তালুকদার বলেন, এই মুহুর্তে মাঠে আমনের চারার অবস্থা বেশ ভালো রয়েছে। কারণ গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতে ইউরিয়া সারের অভাব দূর হয়েছে। এখানে সাধারণত ব্রীধান-৫১, ৫২, ৭৬, ৭৭, বিআর ২২, ২৩ ও স্বর্ণা জাতের আমন বেশি আবাদ করা হয়। এছাড়া এবছর ২১০টি আমনের প্রদর্শনির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সদর উপজেলার দক্ষিন দিঘলদী ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের কৃষক কামরুল সর্দার, জাফর হোসেন, শিরো মিয়া ও মোস্তাফিজ বলেন, তারা প্রত্যেকে এক একর করে জমিতে আমন আবাদ করছেন। ইতোমধ্যে চারা রোপন সম্পন্ন হয়েছে তাদের। কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের পরামর্শ সেবা পাচ্ছেন এবং এখন পর্যন্ত কোন রোগের লক্ষন নেই বলে জানান তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিনয় কৃষœ দেবনাথ জানান, আমনের ক্ষেতে সাধারণত মাজরা পোকা ও শিষ কাটা লেদা পোকার আক্রমন হয়ে থাকে। তাই এই রোগ প্রতিরোধে পার্চিং ব্যবস্থা ও আলোক ফাঁদ বসানো হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলায় ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭০ হেক্টর জমি পাচিং এর আওতায় আনা হয়েছে এবং ১ হাজার ৯০টি আলোক ফাঁদ বসানো হয়েছে। সব ঠিক থাকলে এই জেলায় আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
বিদায়ী শিক্ষককে মাইক্রোবাসে বাড়ি পৌঁছে দিলেন শিক্ষার্থী ও সহকর্মীরা
ছাদখোলা বাসে সাবিনা-ঋতুপর্ণারা, চলছে বিজয় প্যারেড
রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়াই একমাত্র সমাধান : অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার আরো এক মামলা হাইকোর্টে বাতিল
নতুন ইসি গঠনে সার্চ কমিটির প্রজ্ঞাপন
তারেক রহমান-সালামের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল
৭ নভেম্বর ঘিরে ১০ দিনের কর্মসূচি বিএনপির
ভোলায় বিশ্ব ডিম দিবস উদযাপন
লালমোহনে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
লালমোহনে সংগঠনকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে জামায়াতে ইসলামীর সভা
ভোলায় পাঁচ সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা
ভোলার ৪৩ এলাকা রেড জোন চিহ্নিত: আসছে লকডাউনের ঘোষনা
ভোলায় বাবা-মেয়ে করোনায় আক্রান্ত, ৪৫ বাড়ি লকডাউন
ভোলায় বিষের বোতল নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা
ভোলায় এবার কলেজ ছাত্র হত্যা, মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার
উৎসবের ঋতু হেমন্ত কাল
ভোলায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন করোনা রোগী: এলাকায় আতংক
ভোলার চরফ্যাশনে করোনা উপর্সগ নিয়ে এক নারীর মৃত্যু
ভোলায় কুপিয়ে হত্যা করে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, আটক এক
ভোলায় ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আরও ৬ জনের করোনা শনাক্ত