অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


দৌলতখানে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে অধ্যক্ষের সংবাদ সম্মেলন


দৌলতখান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৭ই জানুয়ারী ২০২১ রাত ০৮:৫২

remove_red_eye

৬৭৬


দৌলতখান প্রতিনিধি : ভোলার দৌলতখানে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযেগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহম্পতিবার (৭ জানুয়ারী) বেলা সাড়ে ১২টায় দৌলতখান রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনম করেন উপজেলা চরখলিফা ইউনিয়নের জয়নাল আবেদীন আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহিম জসিম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অধ্যক্ষ মাওলানা জসিম বলেন,‘ ওই মাদ্রাসার ইবতেদায়ী প্রধান মাওলানা হাবিব উল্লাহ সহ কতিপয় শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রসায় অনুপস্থিত থাকেন। এতে বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণসহ প্রতিষ্ঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে তাঁকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গত বুধবার মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকার ব্যাপারে ইবতেদায়ী প্রধান মাওলানা হাবিবুল্লাহকে মৌখিকভাবে জিজ্ঞাসা করা হলে সে আমার সাথে তর্কে জড়িয়ে পরে। একপর্যায়ে ওই শিক্ষক জুতা নিয়ে আমার দিকে তেড়ে এসে এবং আমাকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে। বিষয়টি মাদ্রসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও  উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অবগত করার পর শিক্ষকরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি পেশ করে । এর আগেও ওইসকল শিক্ষক বিভিন্ন সময় তাদের অনিয়মের কারণ জানতে চাইলে আমার সাথে অশালীন আচরণ করেন। যা ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি  ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন। অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহিম সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযুক্ত শিক্ষদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, গত ৮ জুলাই/২০১৮  উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার রিনা আক্তার মাদ্রসা পরিদর্শন করেন। ওই দিন একাডেমিক সুপার ভাইজারের উপস্থিতিতে মাদ্রাসার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আলাপ আলোচনার এক পর্যায়ে  অভিযুক্ত এবতেদায়ী প্রধান হাবিবুল্লাহ , সহকারী মৌলভী বিবি ফাতেমা, ইবি জুনিয়র মৌলভী সাজেদা বেগম, সহকারি মৌলভী বিবি খাদিজা  আমার সাথে তর্ক-বিতর্ক ও অসদাচারণ করে। এ বিষয়ে একাডেমিক সুপার ভাইজার রিনা আক্তার মাদ্রাসা পরিদর্শন বইতে মন্তব্য প্রতিবেদনে লিখেন, প্রতিষ্ঠান প্রধানের সহিত শিক্ষকদের এরুপ আচরণ প্রদর্শন প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ব্যহত ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন হবে বলে মনে করি।