অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


বোরহানউদ্দিনে স্ত্রীর চুল কেটে নির্যাতন


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩শে ডিসেম্বর ২০২০ রাত ১১:০৭

remove_red_eye

৬৮৭


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক: ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় কামিল ( মাস্টার্স) পরীক্ষা দেয়া নব-বিবাহিত স্ত্রীকে চুল কেটে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠেছে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে বোরহানউদ্দিনে হেলিপ্যাড এলাকায় স্বামীর ভাড়া বাসায়। মঙ্গলবার বিকালে নির্যাতনের এক পর্যায়ে ওই নারী ( খাদিজা বেগম) স্বামীর  বাসা থেকে পালিয়ে দৌলতখান উপজেলার চরপাতায় নিজ বাড়িতে চলে আসেন। আজ বুধবার  সকালে পুলিশ  আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে দৌলতখান  থানায় নিয়ে যান। বিকালে ঘটনা স্থল বোরহানউদ্দিন থানায় তাকে পাঠানো হলেও সন্ধ্যায় এ রির্পোট লেখার সময় পর্যন্ত  কোন মামলা হয়নি।  এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলামের শাস্তিদাবি করেছেন পরিবারের সদস্য পাশপাশি স্থানীয়রা।  

স্থানীয় এলাকাবাসী,এলাকার ইউপি মেম্বার আব্দুল অদুদ ও মেয়ের চাচা মোঃ খয়ের সাংবাদিকদের জানান, পিতা মারা যাওয়ার পর খাদিজাকে তারাই লালন পালন করে গত ১৪ এপ্রিল বোরহানউদ্দিন দারুস সুন্নাত মডেল মাদ্রাসার শিক্ষক সইফুলের সঙ্গে বিয়ে দেন। খাদিজা এ বছর কামিল পরীক্ষা দেন। কিন্তু সাইফুলের সাথে অন্য এক নারীর পরোকিয়া থাকায় বিয়ের পর থেকেই খাদিজাকে নির্যাতন করে আসছে।  দুই দিন আগে মাথার চুল কেটে দিয়ে তা আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে উল্লাস করে। একথা গোপন রাখার জন্য চাপ দেয়। যদি এসব বাপের বাড়ির কেউ জানে তা হলে কেটে নদী ভাসিয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়। খাদিজা জানান, তার শুধু চুলই কাটেনি। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতন করে। স্বজনরা জানান, নির্যাতনের এক পর্যায়ে ভাড়াটে বাসার লোকজনের সহায়তায় পালিয়ে খাদিজা তার পিতার বাড়ি গেলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
 
এদিকে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের পিতা তৈয়বুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, তার ছেলে স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতো। সে যে কাজ করেছে তার বিচার হওয়া প্রয়োজন। এদিকে ছেলের পরামর্শে তিনি পুত্রবধুকে ফিরিয়ে নিতে চরপাতায় গেলে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েন তিনি।

এদিকে ঘটনা স্থল বোরহানউদ্দিন উপজেলায় হওয়ায় বুধবার বিকালে ওই নির্যাতনের শিকার গৃহবধূকে দৌলতখান থেকে বোরহানউদ্দিন থানায় পাঠানো হয় বলে জানান দৌলতখান থানার ওসি
বজলার রহমান ।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মাজহারুল আমিন জানান, নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ থানায় গিয়েছেন। তবে এখনো  কোন মামলা হয়নি।  তদন্ত সাপেক্ষে মামলা গ্রহণ করা হবে।