অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


ভোলায় আহলে হাদিসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২রা অক্টোবর ২০১৯ রাত ১০:৩০

remove_red_eye

১১২৬

 

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলায় আহলে হাদিসের একটি মসজিদ ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলার ১৯ আসামীর জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের ঘটনায় তাদের মুক্তির দাবীতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ভোলা ঈমান আকিদা সংরক্ষণ কমিটির সদস্যরা শহরে এই কর্মসূচী পালন করেন। এ সময় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করে। অপর দিকে আহলে হাদিস নেতা কামরুল ও তার ঈমান আকিদা সংক্ষন পক্ষ থেকে পাল্টা পাল্টি হামলা ভাংচুরের অভিযোগ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত ২০১৮ সনের ১১ জুলাই ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা গ্রামে ইসলামের মাসলা মাসায়েল নিয়ে বিভ্রান্তি ছাড়াচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা আহলে হাদিস গ্রুপের একটি মসজিদ ভাংচুর করে এবং পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় আহলে হাদিস গ্রুপের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা নুরই আলম বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার বিকালে ওই আসামীরা আদালতে হাজির হলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করা হয়। এগটনায় ভোলা ঈমান আকিদা সংরক্ষন কমিটির আয়োজনে আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ভোলা শহরের হাটখোলা মসজিদ প্রাঙ্গন থেকে শহরে বিশাল এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ভোলা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক,কালি বাড়ি মোড়,জজ কোর্ট সড়ক এলাকায় গিয়ে অবস্থায় নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় ভোলা জেলা ঈমান আকিদা সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি বশির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, সাধারন সম্পাদক মাও: তাজউদ্দিন ফারুকি, যুগ্ম সম্পাদক মাও: মিজানুর রহমান, মাও: ইয়াকুব আলি ,সমাজ কল্যান সম্পাদক মাও: তরিকুল ইসলাম, সদস্য মাও: গোলাম মোর্শেদ, মাও: সামসুদ্দিন, মাও: ইব্রাহিম প্রমুখ।
এ সময় তারা অভিযোগ করেন, ভোলায় তথা কথিত আহলে হাদিসের নামে ভন্ডামি ও সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারি ভন্ড কামরুলের দ্বায়ের করা মিথ্যা মামলায় ১৯ জন মুসল্লির জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। আটককৃত মুসল্লিদের নিঃশর্ত্ব মুক্তির দাবি করে তারা আরো বলেন, আহলে হাদিস নামধারী বহুরুপি কামরুল ইসলাম বাবুল ধর্মের নামে সমাজে বিভিন্ন ভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে র্ধমপ্রাণ মুসল্লিদের র্ধমিও অনুভুতিতে আঘাত করেছে। কামরুলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইতিপুর্বে বিক্ষোভ মিছিল, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলীপি প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি । আহলে হাদিসের কার্যক্রম বন্ধের দাবীসহ ১৯ আসামীর নি:শর্ত মুক্তি ও আহলে হাদিনের নেতা কামরুল ইসলামের গ্রেফতাররের দাবী জানান। ওই সময় প্রায় ১ ঘন্টা ব্যাপী ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। বেলা ১ টার পর তাদের কর্মসূচী আপাতত স্থগিত করা হয়।