অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


ভোলার বাপ্তায় পাল্টা পাল্টি হামলা ভাংচুরের অভিযোগ


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২রা অক্টোবর ২০১৯ রাত ১০:৩২

remove_red_eye

৬১৬

 

জসিম রানা : ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডে মুক্তিযোদ্ধার দোকান ঘরসহ পাল্টা পাল্টি হামলা ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভোলা থানায় পৃথক অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ২০১৮ সনের ১ জানুয়ারী ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের উত্তর বাপ্তা ১নং ওয়ার্ডে আহলে হাদিস অনুসারীরা ২৩ শতাংশ ওয়ার্কফ জমির উপর একটি মসজিদ নির্মান করে। মাসআলা মাসায়েলার বিষয় নিয়ে গত ২০১৮ সনের ১১ জুলাই এলাকার ছগির বাহিনীর নেতৃত্বে কতিপয় ব্যক্তি মসজিদে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও মসজিদের মালামাল লুট করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় মসজিদটি। এ ঘটনায় আহলে হাদিস অনুসারী বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর-ই-আলম বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় ১ অক্টোবর আদালতে আসামীরা হাজির হলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলে পাঠায়। অভিযোগ রয়েছে, আসামী পক্ষের লোকেরা এক হয়ে মামলার বাদীকে ঘায়েল করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থকে। ২ অক্টোবর সকালে আসামীদের লোকজন তাদের এলাকা থেকে টাকার বিনিময়ে কিছু লোকজন ভাড়া করে এনে ওই মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা নুর-ই-আলম ও আহলে হাদিস অনুসারীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে। অন্যদিকে আসামী পক্ষের ছগির মেম্বারের ছেলে নাহিদের নেতৃত্বে সাফিন, হাছান, নুরউদ্দিন, সেলিম, রিয়াজসহ ১০/১৫জনের একটি দল লোক মুক্তিযোদ্ধা নুর-ই-আলমের নির্মিত একটি দোকন ঘর ভেঙ্গে ফেলে। এতেও ক্ষান্ত হয়নি আসামী পক্ষের সন্ত্রাসীরা। মামলার বাদীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য ওই মামলার ১৩নং আসামী জাকিরের স্ত্রী চম্পা বেগম মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আহত হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে বাদী নুর-ই-আলমের ছেলে কামরুল ইসলামকে আভিযুক্ত করে ভোলা সদর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। উল্লেখ্য এ আভিযোগে লেখা হয়েছে ২ অক্টোবর সকাল সোয়া ১০টায় কামরুল ইসলাম আসামী জাকিরের স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করেছে। অথচ কামরুলের দোকানের সিসি টিভি ক্যামারার ফুটেজে দেখা গেছে, কামরুল সকাল সাড়ে ৮টা থেকে তার দোকানে ব্যাবসায়ীক কাজে ব্যস্ত ছিল। অপর দিকে ঈমান আকিদা সংরক্ষণ কমিটির নেতা মাওলানা তরিকুল ইসলাম জানান, আহলে হাদিসের লোকজন ঈমান আকিদা সংরক্ষণ কমিটির সমর্থক জাকিরের দোকান ঘরে হামলা ও ভাংচুর করেছে। এছাড়াও জাকিরের স্ত্রীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। ভোলা থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, উভয় পক্ষের অভিযোগ তদন্ত করতে বৃহস্পতিবার তিনি ঘটনা স্থলে যাবেন এবং ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।