অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


বোরহানউদ্দিনে ভাই’র স্ত্রীকে জখম করে পাল্টা হুমকির অভিযোগ


বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৭ই ডিসেম্বর ২০২০ রাত ১০:৩০

remove_red_eye

৮৫৮



বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি : ভোলার বোরহানউদ্দিনে আপন বড় ভাই ও তাঁর ছেলে সন্তান,শালা সহ ছোট ভাই’র স্ত্রীকে পিটিয়ে মারাক্তক জখম করে ওই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললে হামলা-মামলার হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুরে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের চিকিৎসাধীন ছোট ভাই’র স্ত্রী আমিরুন নেছা, তাঁর মেয়ে ও গ্রামের বাড়িতে  প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশীরা ওই অভিযোগ করেন।
জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের দুই নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাহাঙ্গির তালুকদার, তাঁর ছেলে হৃদয়,অনিক ও শালা বাচ্চু মিলে আপন ছোট ভাই কামাল তালুকদারের স্ত্রী ৪ সন্তানের জননী আমিরুন নেছাকে বেধরক মারধর করে। তাঁরা তাঁকে রড, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাঁটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় আমিরুন নেছার স্বামী কামাল তালুকদার বাদী হয়ে জাহাঙ্গির তালুকদার সহ চারজনের নাম উল্লেখ করে ও চারজনের নাম উল্লেখ না করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরে আমিরুন নেছা বাড়িতে পাশে শুকাতে দেয়া কাপড় আনতে গেলে জাহাঙ্গির তালুকদার, তাঁর ছেলে হৃদয়,অনিক ও শালা বাচ্চু তাঁর উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
প্রতিবেশী প্রত্যক্ষদর্শী সালমা জানান, চিৎকার শুনে তিনি ওই স্থানে গিয়ে আমিরুন নেছার মাথা থেকে রক্ত ঝরতে দেখেন। ওই সময় পাশ দিয়ে হৃদয়কে রড হাতে চলে যেতে দেখেন। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী মুন্না জানান,তিনি ওই দিকে যাচ্ছিলেন। তখন হৃদয় পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। কী ব্যাপার জিজ্ঞেস করলে হৃদয় হাতের রড দেখিয়ে বলে, এইটা দিয়া মাথা ফাঁটিয়ে দিছি। তবে তাঁরা দুইজন ছাড়াও কামাল তালুকদার, তার মেয়ে সোনিয়া, তানিয়া, মুনিয়া জাহাঙ্গির তালুকদারের আরেক ভাইয়ের ছেলে সবুজ ও রুবেল ঘটনাস্থলের আট ঘরের সবাইকে মুখ খুললে হামলা-মামলার হুমকী দেয়ার অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে জাহাঙ্গির তালুকদার প্রথমে কিছুই জানেন না বলে পরক্ষণে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কানে কম শোনেন বলে ফোন কেটে দেন।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর আবাসিক চিকিৎসক(আরএমও) ডা. সাজ্জাদ হোসেন জানান, আমিরুন নেছার মাথায় ধাতব কিছু দ্বারা আঘাত করা হয়েছে। মাথায় আটটি সেলাই লেগেছে। এছাড়া ডান বাহু ও বা পায়ে পিটানোর ফলে রক্ত জমে আছে। সারতে সময় লাগবে। এ ব্যাপারে বড়মানিকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিমউদ্দিন হায়দার জানান, তাঁরা অত্যন্ত দুষ্ট প্রকৃতির লোক। তাঁরা কারো কথা শোনেনা। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক(এসআই) বিপুল চন্দ্র দেবনাথ জানান, মামলার প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। তবে হুমকি দেয়ার বিষয়টি তাঁকে কেউ জানায়নি।