অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাশনে মাদ্রসা ছাত্রকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২শে নভেম্বর ২০২০ রাত ০৯:৩৫

remove_red_eye

৬২৩


চরফ্যাশন প্রতিনিধি : ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে নবম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাঝি বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে হত্যা চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই ছাত্র মাঝি বাড়ির মৃত আলমগীর মাঝির ছেলে। এ ঘটনায় শশিভূষণ থানায় হত্যা চেষ্টার ঘটনায় একই গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের বেলু হাওলাদার বাড়ির মানিক হাওলাদারের ছেলে ছোটনকে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেও সূত্রে জানা গেছে।  
চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত ওই ছাত্র মো. বাছেত কান্না ভরা কন্ঠে বলেন, গত শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যার পরে একই এলাকায় আমার সহপাঠির বাসায় মাদ্রাসার এ্যাসাইনমেন্টের বিষয় নিয়ে আলোচনা করে বাড়ির উদ্দেশ্যে আসার পথে ওলি ব্যাপারীর বাজার এলাকায় মানিকের ছেলে ছোটন আমার পথ অবরুদ্ধ করে কথা আছে বলে আমার হাত থেকে মুঠো ফোন নিয়ে তার ফোনে কল দিয়ে নাম্বার নেয়। এবং পরবর্তীতে আমি বাসায় আসলে এশার নামাজের উদ্দেশ্যে বাড়ির পুকুরে ওজু করতে যাওয়ার সময় ছোটন আমার ফোনে কল দিয়ে রাস্তায় এসে দেখা করতে বলে। আমি নামাজ পড়ব এখন দেখা করতে পাড়বনা বলে জানিয়ে দিয়ে বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে ওজু করতে যাওয়ার সময় বাগানের কাছে ছোটনসহ মুখে মুখোশ পড়া আরও ৪/৫ জন মিলে আমার মুখ চেপে ধরে টানা হেচরা করে এলাকা সংলগ্ন ধানি বিলে নিয়ে যায়। আহত ওই ছাত্র আরো বলেন, এসময় তারা আমার মুখে নাড়াকুটা ঢুকিয়ে দিয়ে বটসুতা হাত বেঁধে কিলঘুশি ও লাথি মেড়ে মারধর করে। এসময় ছোটন আমার গলা টিপে হত্যা চেষ্টা চালালে অচেতন হয়ে পড়ি।
এ বিষয়ে আহত ওই ছাত্রের বড় ভাই মো. মিজান বলেন, আমরা আমার ছোট ভাইকে না পেয়ে খুঁজতে গিয়ে ধানি বিল থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। তবে ওই দিন আমার ছোট ভাইয়ের সাথে এঘটনার অল্প সময় আগে পুকুর পাড়ে ছোটনকে আমি দেখতে পাই।

আমরা হাটবাজার থেকে রাতবিরাতে বাড়ি ফিরতে হয়। এখন এমন ঘটনায় আমি ও আমাদের পরিবার আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে আছি।
শশিভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের সঙ্গে এবিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে তবে কাউকে এঘটনায় আটক করা হয়নি। পুলিশ তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিবে।