অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাশনে যৌতুকের মামলা দেওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন


এ আর সোহেব চৌধুরী

প্রকাশিত: ৫ই নভেম্বর ২০২০ সন্ধ্যা ০৭:৩৬

remove_red_eye

৬০৬

চরফ্যাশন প্রতিনিধি : স্বামীর পরকিয়ায় বাঁধা ও স্ত্রী কর্তৃক যৌতুক মামলা দেওয়ায় তা  উঠিয়ে না নেয়ায় স্ত্রীকে হত্যার উদ্যেশ্যে মারধরসহ নানান রকমের নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহ¯পতিবার উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কাসেমগঞ্জ এলাকায় এঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।
ভ‚ক্তভোগী স্ত্রী জানান, স্বামী মনির হোসেনের পরকিয়ার লালসায় তিনি বিভিন্নভাবে মানুষিক ও শারিরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন একাধিকবার। র্দীঘ ৮মাস একই বসতঘরে বসবাস করলেও স্বামী মনির হোসেন তার কোনো খোঁজ খবর কিংবা কোনো রকমের যোগাযোগ রাখেন না। এছাড়াও তাদের সংসারে দুই ছেলে মেয়ে থাকলেও স্বামী মনির হোসেন ভরোন পোষণ দিচ্ছেনা বলেও জানান ভ‚ক্তভোগী ওই স্ত্রী। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, আমার স্বামী মনির হোসেন চরিত্রহীন ও একজন ল¤পট প্রকৃতির,সে আমার অনুমতি ব্যতিত নুরাবাদ হাজিরহাটের এক নারীকে বিয়ে করে। র্দীঘ দিন তার সাথে সংসার করে। একপর্যায়ে আমার স্বজন ও স্বসুরবাড়ির আতœীয়োদের সহযোগীতায় স্থানীয় শালিস ফয়সালার মাধ্যমে দ্বিতীয় স্ত্রীকে অন্তত চারবার তালাক দিয়েও কিছুদিন পরপর তালাকপ্রাপ্ত ওই স্ত্রীর সাথে অবৈধ স¤পর্কে জড়ায়। ভ‚ক্তভোগী ওই স্ত্রী আরও বলেন, মনির হোসেন তাদের বাড়ির দরজাসংলগ্ন একটি পরিত্যাক্ত ঘরে বিভিন্ন নারীদের নিয়ে আসেন এবং অবৈধ নারী সংক্রান্ত কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। আমি বাঁধা দিলে আমাকে লাঠি দিয়ে মারধর করে। এছাড়াও একাধিক নারীর সাথে সে বিভিন্ন রকমের খারাপ কথাবার্তা বলে স¤পর্ক স্থাপন করে যার কল রেকর্ড রয়েছে। বিভিন্ন সময় তাকে আমার পিতার কাছ থেকে লাখ,লাখ টাকা এনে দিলেও গত আগস্ট মাসের ২৯ তারিখে সে আমার কাছে ৪লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে ব্যবসা করার নাম দিয়ে।

আমার পিতার নিকট থেকে টাকা এনে দিতে আমি অস্বীকৃতি জানালে আমাকে লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাথারি মারধর ও রক্তাক্ত ফোলা জখম করে। এসময় আমার স্বজনরা এসে আমাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে।
পরে আমি চরফ্যাশন থানায় একটি যৌতুক মামলা দায়ের করি। যার নং ১০/তাং ১১/১০/২০২০। অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেও চরফ্যাশন থানায় মামলা করলেও পুলিশ মনিরকে এখনোও আটক বা গ্রেপ্তার করেনি। এই মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য মনির আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।
এবং গত বৃহ¯পতিবার (২৯অক্টোবর) সকালে তাদের বাড়িতে আমাকে বালতি ও লাঠিসোটা দিয়ে মারধর ও ফোলা জখম করে বসতঘর সংলগ্ন পুকুরে ফেলে দেয়।  এ অভিযোগ অস্বীকার করে মনির হোসেন মুঠো ফোনে জানান, আমার বিরুদ্ধে স্ত্রীর দায়েরকৃত যৌতুক মামলাটি স¤পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। মামলায় আসামী গ্রেপ্তার সংক্রান্ত বিষয়ে চরফ্যাশন থানার এসআই সাইফুল ইসলাম বৃহ¯পতিবার দুপুরে বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। এবং আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।