অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ১লা নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


লালমোহনে স্যাকমো আবুলের অপকর্মের সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জিডি


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০ই অক্টোবর ২০২০ রাত ১০:৩৫

remove_red_eye

৪৪৫



লালমোহন  প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহন হাসপাতালের স্যাকমো আবুল হোসেনের খুটির জোর কোথায়। একের পর অপকর্ম করেও টাকার বিনিময়ে পার পেয়ে যাচ্ছে আবুল হোসেন। বদলী হয়েও ফিরে এসে আগের মতো চালাচ্ছে অপকর্ম। তার অপচিকিৎসায় পা হারাতে বসেছে এক দিনমজুর। শেষ পর্যন্ত ৭ হাজার টাকা দিয়ে রোগীর হাত-পা ধরে আপাতত রক্ষা পেলেও রোগী এখনো সুস্থ হয়নি। আবুল হোসেনের এমন অপকর্মের সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছে তার স্ত্রীকে দিয়ে। নিজেকে রক্ষা করতে একের পর এক দৌড় ঝাপ শুরু করেছে আবুল হোসেন।
জানা গেছে, গত শনিবার (৩ অক্টোবর) রাতে উপজেলার কালমা ইউনিয়নের চরছকিনা এলাকা থেকে মোঃ ইউনুছের ছেলে বজলুর রহমান নামের এক রোগী আসে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে পায়ের ফোঁড়া অপারেশন করাতে। তখন ইমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার উপস্থিত না থাকায় সেখানে থাকা স্যাকমো আবুল হোসেন রোগীর পা অপারেশনের জন্য ৯ শত টাকা দাবী করেন। অপারেশন করার পর রোগীর পরিবার অত্যন্ত গরীব হওয়ায় তারা দেড়শত টাকা দিতে চাইলে আবুল হোসেন ওই টাকা মাটিতে ফেলে দেন। এনিয়ে আবুল হোসেন ও ওই রোগীর পরিবারের সাথে বাকবিতÐা হয়। পরে অনেক বুঝিয়ে রোগীর পরিবার আবুল হোসেনকে দেড়শত টাকা দিয়ে বিদায় নেন হাসপাতাল থেকে।
দুদিন পর ৫ অক্টাবর রোগী বজলুর রহমান পা ড্রেসিং করাতে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে গেলে সেখানে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. তানজিলা রোগীর পা দেখে স্বজনদের জানান অপারেশনের সময় রোগীর পায়ের রগ কেটে গেছে। যার জন্য রোগীকে দ্রæত ভোলা অথবা বরিশাল নেয়ার পরামর্শ দেন। আবুল হোসেনের এমন অপচিকিৎসায় পা হারাতে বসেছে ভুক্তভোগী রোগী বজলুর রহমান। এরপর তারা বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জানাতে গিয়ে তাকে অফিসে না পেয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মহিসন খানকে বিষয়টি জানান। পরে আরএমও মহসিন খান রোগীর পরিবারকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য বলেন। ওই রোগীকে পরে বরিশাল নিয়ে চিকিৎসা করাতে হয়।
বজলুর রহমানের মামাতো ভাই মোঃ জাকির জানান, বজলু দিন মজুরী করে কোন রকম সংসার চালায়। তার চিকিৎসার জন্য এ পর্যন্ত ২০ হাজার টাকার উপরে খরচ হয়ে গেছে। অথচ আবুল হোসেন মাত্র ৬৮০০ টাকা দিয়ে দিয়েছে। বজলুর চিকিৎসা করাতে তার বাবা হিমশিম খাচ্ছে। তিনি এখন অসহায় হয়ে পড়েছেন।   
জানা গেছে, আবুল হোসেন একজন স্যাকমো হয়েও ইমার্জেন্সিতে থাকাকালীন রোগীদের সাথে অসদাচারণ করে আসছেন। রোগীকে টেস্ট করাতে দেয়ার নিয়ম না থাকলেও সে বিভিন্ন সময় টেস্ট দিয়ে থাকেন। আবুল হোসেনের নানা অনিয়মের অভিযোগে তাকে কয়েক মাস আগে বদলি করা হলেও মধুর টানে ফের নানানভাবে লোভিং করে লালমোহন হাসপাতালে এসে যোগ দেন। প্রতিনিয়ত আবুল হোসেনের এমন কর্মকাÐে ক্ষোভ বিরাজ করছে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে স্টাফদের মধ্যেও।
আবুলের অপচিকিৎসায় পা বজলুর রহমানের পা হারানোর সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় আবুল নিজের স্ত্রীকে দিয়ে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন লালমোহন থানায়।