অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ১লা নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


লালমোহনে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার স্বামী পলাতক, শ্বশুর আটক


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০ই অক্টোবর ২০২০ রাত ১০:৩৩

remove_red_eye

৫৩৭


লালমোহন  প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহনে সোনিয়া আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত ২টার দিকে উপজেলার উত্তর লর্ডহার্ডিঞ্জ গ্রামের সোনিয়ার স্বামী জুয়েলের ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে সোনিয়ার স্বামী জুয়েল পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় সোনিয়ার পিতা লিটন শিকদার বাদী হয়ে সোনিয়ার স্বামী জুয়েলকে প্রধান আসামী করে ৬ জনের নামে লালমোহন থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। পরে সোনিয়ার শ্বশুর বাবুল মিয়াকে আটক করে পুলিশ।
সোনিয়ার পিতা লিটন শিকদারের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ও রাতে স্বামী জুয়েল, শ্বশুর-শ্বাশুড়ী ও দেবর ননদ মিলে সোনিয়াকে নির্যাতন করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়। সোনিয়ার মৃত্যুর পর পিতার পরিবারকে অসুস্থতার কথা বলে ফোন করলেও মৃত্যুর বিষয়টি গোপন রাখা হয়।
লিটন শিকদার আরও জানান, গত প্রায় ৬ বছর আগে জুয়েলের সাথে সোনিয়ার বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকে তাদের দু-জনের মধ্যে কলোহ চলছে। এরই মধ্যে একটি বেসরকারী কোম্পানীর চাকরি নিয়ে লালমোহন থেকে বরিশাল চলে যায় জুয়েল। এতে কলোহ আরও বাড়ে এবং মাঝে মাঝেই সোনিয়ার ওপর চলে শ্বশুর-শ্বাশুড়ী ও দেবর-ননদের শারিরিক ও মানুষিক নির্যাতন। এই নির্যাতনের ঘটনায় কয়েকবার শালিশ বিচার হলেও জুয়েলের নির্যাতনের মাত্রা কমেনি। অপরদিকে সোনিয়ার শ্বশুর বাবুল মিয়া বলেন, সোনিয়া নিজেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমরা তাকে নির্যাতন করিনি।  
লালমোহন থানার ওসি মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, সোনিয়ার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সোনিয়ার পিতার অভিযোগের কারণে শ্বশুরকে আটক করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর বিস্তারিত বলা যাবে।