অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলার বোরহানউদ্দিনে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ :দুই যুবক গ্রেফতার


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০ই অক্টোবর ২০২০ সন্ধ্যা ০৭:৫৩

remove_red_eye

১০০২




বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক  : ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ১৩ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রীকে  ধর্ষণের ঘটনায় সফিকুল ইসলাম ও মো. নাগর মাল নামের দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফরকৃত সফিকুল ইসলাম লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের লাল মিয়া ঢালীর ছেলে ও মো. নাগর মাল একই উপজেলার চরলক্ষী গ্রামের হাবু উল্লাহ মালের ছেলে। শনিবার দুপুরে আটককৃদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ভোলার লালমোহন উপজেলার ১৩ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রীর সাথে সফিকুল ইসলামের পরিচয় ছিলো। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে ওই ছাত্রীকে তার বাড়ি থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সফিকুল ইসলাম  ও নাগর মাল অপহরণ করে নিয়ে আসে। অপহরণের পর ওই স্কুল ছাত্রীকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের পদ্মামনসা গ্রামের সবুজ হাজীর সুপারির বাগানের উত্তর পাশের পুকুর পাড়ে নিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে স্কুল ছাত্রীকে ওই এলাকার ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন সরকারি আবাসন প্রকল্পের সামনে ফেলে রেখে সফিক ও নাগর পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ওই  রাত পৌনে ১২টার দিকে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের একটি টিম ওই এলাকা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এর পর তাকে চিকিৎসা ও পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় শুক্রবার ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে সফিকুল ইসলাম ও মো. নাগর মালের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার সকালে ধর্ষক সফিকুল ইসলামকে বোরহানউদ্দিনের দেউলা ইউনিয়ন থেকে ও মো. নাগরকে একই উপজেলার কুঞ্জেরহাট এলাকা থেকে আসামীদের গ্রেফতার করেন।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, ধর্ষনের ঘটনায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ ধর্ষককে  গ্রেফতার করা হয়েছে।  প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা উভয়ই অপহরণ ও গন ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তাদরকে শনিবার আদলতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।