অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাশনে দেবর কর্তৃক ভাবিকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৯ই অক্টোবর ২০২০ রাত ১০:২৭

remove_red_eye

৬৯৮



চরফ্যাশন প্রতিনিধি : দেবর কর্তৃক ভাবিকে শ্লীলতাহানি ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর উপজেলার ওসমানগঞ্জের মতালেব মিয়ার হাটে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এ সময় ফাহিমা বেগম (২৬) ও তার স্বামী মো.বাবুল (৩৪) গুরুতর আহত হয়।
অভিযোগকারী ফাহিমা বেগম জানান, তার দেবর গিয়াস ও তার স্ত্রী সারমীন আকতারসহ  ছোট দেবর জাফর ও তার স্ত্রী খাদিজাসহ অন্যান্যরা মিলে তাকে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর রক্তাক্ত নিল ফোলা জখম করে। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, আমার মেঝো দেবর গিয়াস উদ্দিন আমাকে গালে,গলায় ও বুকেসহ শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে একাধিকবার কামর দিয়ে শ্লীলতাহানী ও রক্তাক্ত জখম করে। এসময় আমার অসুস্থ্য স্বামী বাবুল আমাকে উদ্ধার করতে আসলে তাকেও তার ছোট দুই ভাই গিয়াস,জাফরসহ তাদের স্ত্রীরা মিলে মারধর করে।
ফহিমা বেগম কান্না কন্ঠে বলেন, আমার স্বামী বাবুল দির্ঘদিন ধরে লিভার জনিত রোগে ভুগছেন। আমার অসুস্থ্য স্বামী ও কন্যা শিশুকে জমিজমা থেকে বঞ্চিত করতেই তারা ষড়যন্ত্র করে এঘটনা ঘটিয়েছে। আমার উপর অত্যাচার জুলুম করে আমাকে শ্বশুর বাড়ি থেকে বিতারিত করতেই এ চক্রান্ত করেছে তারা। আমার শ্বশুর দানু বয়াতি তার ছেলেদের জমিজমাসহ বাড়ির গাছগাছালি ভাগবাটোয়ারা করছে এবং তার ভাইয়েরা ওই সম্পদ থেকে আমার অসুস্থ্য স্বামীকে বঞ্চিত করার পায়তারাও করছে। এছাড়াও আমার ৩বছরের কন্যা শিশুকে তারা প্রতি নিয়ত তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে। এঘটনায় দেবর গিয়াস উদ্দিন জানান, তার স্ত্রী’র সাথে পারিবারিক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বড় ভাইয়ের স্ত্রী ফাহিমা’র সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারধরের ঘটনা ঘটে। তবে তারা দুজন মারা মারি করলেও আমার স্ত্রী সারমিনকেও প্রচুর মারধর করে ফাহিমা। ফাহিমার শ্বসুর দানু বয়াতি জানান, আমার এক একর -৭৬শতাংশ জমির ৩ছেলেকে ৪৮ শতাংশ জমি ভাগ করে দেই আলদা থাকার জন্য। তারপরেও সাংসারিক বিষয় নিয়ে মারামারি হলেও আমি ছেলে ও তাদের স্ত্রীদের সামাজিক বিচারের আশ্বাস দিয়েছি।
এ ঘটনায় চরফ্যাশন থানায় নারী নির্যাতনে ৪জনকে আসামী করে একটি মামলা হলে ছোট ভাই জাফরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারলেও বাকি আসামীরা এখনো ধরাছোয়ার বাহিরে আছেন।