অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


লালমোহন হাসপাতালের স্যাকমো আবুলের অপচিকিৎসা


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৫ই অক্টোবর ২০২০ রাত ১০:৩৬

remove_red_eye

৭০৮




 পা হারানোর পথে এক রোগী


লালমোহন প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহন হাসপাতালের স্যাকমো আবুল হোসেনের অপচিকিৎসায় পা হারাতে বসেছে এক রোগী। গত শনিবার (৩ অক্টোবর) রাতে উপজেলার কালমা ইউনিয়নের চরছকিনা এলাকা থেকে বজলুর রহমান নামের এক রোগী আসে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে পায়ের ফোঁড়া অপারেশন করাতে। তখন ইমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার উপস্থিত না থাকায় সেখানে থাকা স্যাকমো আবুল হোসেন রোগীর পা অপারেশনের জন্য ৯ শত টাকা চুক্তি করেন। অপারেশন করার পর রোগীর পরিবার অত্যন্ত গরীব হওয়ায় তারা দেড়শত টাকা দিতে চাইলে আবুল হোসেন ওই টাকা মাটিতে ফেলে দেন। এনিয়ে আবুল হোসেন ও ওই রোগীর পরিবারের সাথে বাকবিতÐা হয়। পরে অনেক বুঝিয়ে রোগীর পরিবার আবুল হোসেনকে দেড়শত টাকা দিয়ে বিদায় নেন হাসপাতাল থেকে।
সোমবার রোগীর পা ড্রেসিং করাতে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে গেলে সেখানে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. তানজিলা রোগীর পা দেখে স্বজনদের জানান অপারেশনের সময় রোগীর পায়ের রগ কেটে গেছে। যার জন্য রোগীকে দ্রæত ভোলা অথবা বরিশাল নেয়ার পরামর্শ দেন। আবুল হোসেনের এমন অপচিকিৎসায় পা হারাতে বসেছে ভুক্তভোগী রোগী বজলুর রহমান। এরপর তারা বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জানাতে গিয়ে তাকে অফিসে না পেয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মহিসন খানকে বিষয়টি জানান। পরে আরএমও মহসিন খান রোগীর পরিবারকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য বলেন।


জানা গেছে, আবুল হোসেন একজন স্যাকমো হয়েও ইমার্জেন্সিতে থাকাকালীন রোগীদের সাথে অসদাচারণ করে আসছেন। রোগীকে টেস্ট করাতে দেয়ার নিয়ম না থাকলেও সে বিভিন্ন সময় টেস্ট দিয়ে থাকেন। আবুল হোসেনের নানা অনিয়মের অভিযোগে তাকে কয়েক মাস আগে বদলি করা হলেও মধুর টানে ফের নানানভাবে লোভিং করে লালমোহন হাসপাতালে এসে যোগ দেন। প্রতিনিয়ত আবুল হোসেনের এমন কর্মকাÐে ক্ষোভ বিরাজ করছে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে স্টাফদের মধ্যেও।
এব্যাপারে লালমোহন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. মহসিন খান বলেন, রোগীর পরিবারের লোকজন মৌখিক অভিযোগ দিয়েছে। তাদের লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য বলেছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।