অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


তজুমদ্দিনে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে স্কুল কাম আশ্রয় কেন্দ্রের চার তলা ভবন


তজুমদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২০ রাত ১১:০০

remove_red_eye

৬৪১





তজুমদ্দিন প্রতিনিধি :  ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর জহির উদ্দিনের সিডার চর এলাকার  নিশ্চিন্তপুর শিকদার বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় কাম আশ্রয় কেন্দ্র নদী গর্ভে বিলীন হতে চলেছে। প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চারতলা স্কুল ভবন সঠিক সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অপসরন না করায় বিদ্যালয়ের একাংশ ইতো মধ্যে নদী ভেঙ্গে পড়েছে। অভিযোগ রয়েছে, আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘ সূত্রতার জটিলতায় নিলাম টেন্ডারের মাধ্যমে ভবনটি সঠিক সময় ভেঙ্গে অপসারণ করা হয়নি। যার ফলে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়। এতে করে  স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, তজুমদ্দিনের বিচ্ছিন্ন চর জহিরউদ্দিনের মানুষের আশ্রয় ও শিক্ষা ব্যবস্থা প্রসারের লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এসএসডিপি) ২০১০/১১ অর্থ বছরে দুই কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে চারতলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। ওই ভবনে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত নিশ্চিন্তপুর শিকদার বাজার মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়। ১৯৫ ফুট দৈর্ঘ্য ২১ টি কক্ষ বিশিষ্ট এই বিশাল ভবনে বিদ্যালয়টি ২০১৭ সালে এমপিও ভুক্ত হয়।  ১২ জন শিক্ষক কর্মচারী সুনামের সাথে শিক্ষা  কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন এবং দুর্গম চরের ২১৬ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে আসছে । কিন্তু বর্তমানে মেঘনার তীব্র ভাঙ্গনের মুখে পড়ে বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়ের এই বিশাল ভবনটিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সঠিক প্রক্রিয়ায় অপসারন না করায় ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হতে চলছে।
নিশ্চিন্তপুর শিকদার বাজার মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বই-আসবাবপত্র -সোলার সহ প্রায় কোটি টাকার মালামাল নিয়ে আমরা আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছি। এলাকার ইউপি  চেয়ারম্যান নুরুন্নবী সিকদার বাবুল জানান, চরের মানুষের আশ্রয় ও শিক্ষার প্রসার অব্যাহত রাখতে দ্রæত বিকল্প ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান জানান, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পাউবো কর্মকর্তাসহ পরিদর্শণ শেষে নিলামের মাধ্যমে অপসারনের জন্য নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা বেশী হওয়ায় ভবনের একাংশ ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।