অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাসনে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২০ রাত ১০:৪২

remove_red_eye

৭৬০



ঘটনার ৩ দিন পর মামলা নিলো পুলিশ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার চরফ্যশন পৌরসভায় পরিবারের অনুপস্থিতিতে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে(৯) ধর্ষণচেষ্টার ঘটনার তিন দিন পরে পুলিশ মামলা গ্রহণ করেছে।  রবিবার রাতে একজনকে আসামী করে মামরা গ্রহণ হয়। বৃহস্পতিবার  রাত ৯ টার দিকে চরফ্যাশন পৌরসভায় এ ঘটনা ঘটে। শিশু মেয়েকে ধর্ষনচেস্টা করেছে অভিযোগে তুলে শনিবার বাবা চরফ্যাশন থানায় অভিযোগপত্র দায়ের করেন। পুলিশ দুদিন তদন্ত চালিয়ে সত্যতা পেয়ে মামলা রুজু করে।
 
শিশুর ভাষ্য, তাঁরা মা-বাবার অনুপস্থিতিতে বৃহষ্পতিবার রাত নয়টার দিকে প্রতিবেশী মমিনুল ইসলাম অন্তর(২২) ঘরে ঢুকে তাঁকে টাকা দিতে চায়। সে নিতে অস্বীকৃতি জানালে জোর করে তাঁর পরিধানের বস্ত্র  খুলে জড়িয়ে ধরে। এক সময় তাকে পাশের বাগানে যাওয়ার ও বিবাহের  প্রস্তাব দেয়। এ সময় মা ঘরে প্রবেশ করলে পেছন দরজা দিয়ে মমিন পালিয়ে যায়। শিশুর বাবা রাজমিস্ত্রি । তিনি তখন তজুমদ্দিন উপজেরায় ছিলেন। মা পাশের এক হুজুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন।

শিক্ষার্থীর মা বলেন, ওই দিন রাতে তাঁর ছোট ছেলেকে ভাত খাওয়ানোর  সময় বিড়াল আঁচড় দিয়েছে। পরে ছোট ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে হুজুরের বাড়িতে কলাপড়া আনতে গিয়েছিলেন। এ সুযোগে প্রতিবেশী  মোস্তাফিজুর রহমানের অর্নাস পড়ুয়া ছেলে মমিনুল ইসলাম অন্তর ঘরে প্রবেশ করে। তিনি ফিরে আসার  উপস্থিতি টের পেয়ে সে পালিয়ে যায়। তিনি মমিনকে ধাওয়া করেন। সে দৌড়ে গিয়ে মা-নানির সামনে হুরমুর করে পরে। ঘটনাটি তাৎক্ষনিক মমিনের অভিভাবককে জানালে তাঁরা বিশ্বাস করেনি। উল্টো তাঁর (শিক্ষার্থীর মা) ওপর চড়াও হয়। বাধ্য হয়ে ঘটনাটি শিক্ষার্থীর পিতা ও স্থানীয় কাউন্সিলর আলাউদ্দীন মাতাব্বরকে জানিয়েছেন। পরে শিশুর পিতা বাড়িতে আসলে থানায় এজাহারপত্র জমা দেন।
শিশুর পিতাই মামলার বাদি। তিনি বলেন, এজাহারে শিশুর বক্তব্য লেখা হয়েছে।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মিঞা বলেন, এজাহার পাওয়ার পরে ঘটনার তদন্ত করতে কয়েক দিন সময় লেগেছে। প্রাথমিক সত্যতা পাওযার পরে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। তাই বিলম্ব হয়েছে।  ওসি আরও বলেন, আসামী পলাতক, গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।