অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাসনে টর্ণেডোর আঘাতে শতাধিক ঘর বাড়ি লন্ডভন্ড


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২০ রাত ১০:২৩

remove_red_eye

৬৫৮


 
চরফ্যাসন প্রতিনিধি :ভোলার চরফ্যাসন উপজেলায় আস্মিক টর্ণেডোর আঘাতে ৩ গ্রামের শতাধিক ঘনবড়ি লন্ডভন্ড হয়েছে। ঘর ও গাছচাপা পড়ে আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শনিবার রাত ৩ টায় ঝড়েরর পর থেকে বিধ্বস্থ পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, শনিবার মধ্যরাতে হঠাৎ করেই ঝড়ো বৃষ্টির সাথে ধমকা হাওয়া বইতে শুরু করে। এর মধ্যেই কয়েক সেকেন্ডের টর্ণেডোতে লন্ড ভন্ড করে যায়, চরফ্যাসনের আসলামপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড, ৮নং ওয়ার্ড ও চরফ্যাসন পৌরসভার ৮নং ওয়ােের্ডর শতাধিক ঘরবাড়ি। এর মধ্যে ৬০টি ঘর সম্পূর্ণ বিধস্থ হয়েছে। আসলামপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের স্থানীয়রা জানান,রাস্তার পাশেই অর্ধশতাধিক ঘর ভিটির উপর ধুমরে মুচরে পড়ে আছে। ধংসস্তুপ থেকে আসবাবপত্র ও নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল সরিয়ে নেয়ার চেস্টা করছে পরিবারের সদস্যরা। বড় বড় । গাছ চাপা পড়ায় অনেক পরিবার মালামাল বের করতেও পারে নি।  অর্ধহারা আনারে  খোলা আকাশের নিচে দিন কেটেছে অনেকের।
বিধ্বস্ত ঘর মালিক আবুল কালাম জানান, ঘরের বাসিন্দারা যার যার মতো শুয়ে বসে ছিলেন। কিছু বুঝে উঠার আগেই যাহার উপর থেকে ঘরটি উড়ে যায় । মুহূর্তে মধ্যে ঘরের ঘরের চকি- বিছানাসহ অন্যান্য মালামাল উড়েগেছে।
গৃহকত্রী সারমিন আকতার জানান, আকষ্মিক বাতাসের চাপে মাথার উপরের ঘর ভিটায় মিশে যায়। স্বামী-সন্তানসহ ঘরের নীচে চাপা পড়েন তিনি। কয়েক মিনিট স্থায়ী এই ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বসত ঘরটি। আবুল কালামের বাড়িতে ঘর চাপা পড়ে ১৩ জনের মধ্যে ৫ জনই আহত হয়েছে। শহীদ খা জানান, তার ঘরের ৩ খাটে পরিবারের সবাই ঘুমন্ত ছিল। তিনি সজাগ হয়ে দেখেন স্ত্রীসহ ঘরচাপা পড়ে আছে। ডাক চিৎকার করার অনেক পরে বেড়া ভেঙে ও গাছ সরিয়ে ছেলেরা তাদের ২জনকে উদ্ধার করেছে। তার পরিবারের ৫ জনই আহত হন ঘরচাপা পড়ে। একই অবস্থা প্রতিবেশি ফজলুল করিমের পরিবারের।
আসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম জানান, তার ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তালিকা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে শুকনো খাবার দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্ণবাসনে গৃহনির্মাণ সহায়তার দাবি করেছেন তিনি। চরফ্যাসন
উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মো. রুহুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, তাৎক্ষণিক শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। সোমবার ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে জেলা প্রশাসকের বরাদ্দকৃত ২ মে টন চাল বিতরণ করা হবে। তালিকা শেষে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থদের গৃহ নির্মাণেরও সহায়ার আশ্বাস দেন তিনি।