অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪ | ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


লালমোহনে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে নির্যাতন


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২০ রাত ১০:৩৫

remove_red_eye

৩৭২



লালমোহন প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহনে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধ‚র ওপর অমানুষিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পেশকার হাটের বিশ্বাসের পাড় এলাকার মাওলানা আঃ মান্নানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পেশকার হাট বিশ্বাসের পাড় এলাকার মাওলানা আঃ মান্নানের ছেলে মোঃ হেলাল উদ্দিনের সাথে ২০০৬ সালে একই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাওলানা আঃ রশিদের মেয়া জুবাইদা বেগমকে সামাজিকভাবে বিবাহ দেয়া হয়। বিয়ের সময় কন্যার সুখের কথা চিন্তা করে বরপক্ষের দাবী অনুযায়ী নগদ দেড়লক্ষ টাকা ও এক লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকারসহ মালামাল দেয়া হয়। বিয়ের পর ২ বছর ভালোই কেটেছে তাদের দাম্পত্য জীবন।জুবাইদার কোল জুড়ে আসে মোঃ রাওহা নামের এক ছেলে সন্তান। তার বয়স এখন (১২) বছর। ছেলের বয়স বছর খানেক যেতে না যেতেই জুবাইদাকে যৌতুকের নির্যাতনের শিকার হতে হয় যৌতুক লোভী স্বামীর হাতে। ছোট্ট শিশু রাওহার মুখের দিকে চেয়ে বাবার বাড়ি থেকে তখন আরো ১ লক্ষ টাকা এনে ব্যবসা করার জন্য স্বামী হেলালের হাতে দেয়। এরপরও থেমে নেই যৌতুক লোভী পরিবারটি।আবারও টাকার জন্য চাপ দেয়। এতে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর সকালের দিকে তাদের প‚র্বপরিকল্পনা অনুযায়ী স্বামী হেলাল, শ্বশুর মাওঃ আঃ মান্নান ও ননদের স্বামী রফিক এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। এসময় গৃহবধ‚ জুবাইদা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্বামী হেলাল ও ননদের স্বামী রফিক তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। এসময় ছেলে রাওহা বাঁধা দিলে তাকেও মেরে ফেলা চেষ্টা করে। ওই সময় ছেলেটির হাতও কেটে যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা দেখে ফেললে প্রাণে বেঁচে যায় গৃহবধ‚। পরে গৃহবধ‚র জুবাইদার পরিবারের লোকজন খবর শুনে তাদেরকে উদ্বার করে লালমোহন সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।  শ্বশুর বাড়ির এমন অমানুষিক নির্যাতনের শিকার গৃহবধ‚ ও তার পিতৃ পরিবার এই ঘটনার ন্যায় বিচার দাবী করছেন।।