অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ১লা নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


লালমোহন ফরাজগঞ্জ ইউপির নির্বাচনে ৯ চেরায়ম্যান ও ৫৩ সদস্য পদে মনোনয়ন ফরম ক্রয়


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২০ রাত ০৯:৪৪

remove_red_eye

৫১০




মোঃ জসিম জনি/ওমর রায়হান ওন্তর, লালমোহন থেকে : ভোলার লালমোহন ফরাজগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের তফসিল ঘোষণার পর দলীয় প্রতীক পেতে আওয়ামী লীগের অন্তত ১৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী দৌরঝাঁপ শুরু করেছেন। কেউ কেউ ঢাকা অবস্থান করছেন নেতার আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য। কে পাবে নৌকা প্রতীক তা নিয়ে এলাকায় চলছে জল্পনা কল্পনা। বিএনপি ও অন্যান্য দলের কারো প্রচারণা না থাকলেও আওয়ামী লীগেই ১৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকায় ফরাজগঞ্জ ইউনিয়ন জুড়ে এখন গরম হাওয়া বইছে।
২০ অক্টোবর এ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতার জন্য ইউপি সদস্য প্রার্থীরা যেরকম সরগরম তেমনি এ ইউনিয়নে এই প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হওয়ায় দলীয় মনোনয়ন নেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ঘুম নেই। ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নে গত ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলেও সেসময় ১০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। তাদের মধ্য থেকে আবুল বশার সেলিম মৃধা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এর আগে বিএনপির আমলেও তিনি বিএনপি থেকে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। সব মিলিয়ে তিনি একটানা ৪ বারে ২৩ বছর ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। এবারো তিনি মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছেন নির্বাচন অফিস থেকে। তবে নৌকা প্রতীক কার কাছে যায় তা দেখার অপেক্ষা করতে হবে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। কারণ ওই দিনই মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ।    
এদিকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচন অফিসে থেকে ৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছেন বলে জানান সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার আমির খসরু গাজী। এরা হলো, বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল বাশার সেলিম, ফয়েজ উল্যাহ খোকন, আব্দুস সহিদ, ফরহাদ হোসেন মুরাদ, ফরহাদ হোসেন নাঈম, আলমগীর হোসেন, ইশাকুর রহমান জাফর, আবুল বাশার ও রেহেমের রহমান বুলবুল। এর মধ্যে আব্দুস সহিদ মনোনয়ন ফরম জমাও দিয়েছেন। মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেননি এমন আরো সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছে উপজেলা মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি মোঃ ইউনুছ মিয়া, ফয়েজউল্যাহ ফয়েজ, কামাল হোসেন রিপন ও অহিদুজ্জামান খোকন। তারা আগামী রোববার ফরম কিনবেন বলেও জানান কেউ কেউ।
বিএনপি থেকে কেউ প্রার্থীতা করার জন্য মাঠে না থাকলেও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি সোহেল আজীজ শাহিন জানান, বিএনপির প্রার্থী ঠিক হয়নি। আইয়ুব আলী নামে একজন ইচ্ছা প্রকাশ করলেও এখনো নিশ্চয়তা নেই।
ইউপি সদস্যদের মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫৩ জন ফরম ক্রয় করেছেন বলে জানান নির্বাচন কর্মকর্তা। এদের মধ্যে সংরক্ষিত-১ ওয়ার্ডে ২ জন, সংরক্ষিত-২ ওয়ার্ডে ৫ জন, সংরক্ষিত-৩ ওয়ার্ডে ৩ জন প্রার্থী রয়েছে। সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ১নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ২নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ৩নং ওয়ার্ডে ৫ জন, ৪নং ওয়ার্ডে ৫ জন, ৫নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ৬নং ওয়ার্ডে ৫জন, ৭নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ৮নং ওয়ার্ডে ৫ জন ও ৯নং ওয়ার্ডে ৮ জন প্রার্থী। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।    
ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নে মোট ভোটার ১৯ হাজার ৯৫২ জন। এর মধ্যে পূরুষ ভোটার ১০ হাজার ১২৫ জন। নারী ভোটার ৯ হাজার ৮২৭ জন। ভোট কেন্দ্র ১০টি।