অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাসনে ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২০ রাত ১০:১৫

remove_red_eye

৯৩০


এম ছিদ্দিকউল্যাহ : ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার পূর্ব ফরিদাবাদ ইউনুছিয়া দাখিল মাদ্রাসায় বিধি বহির্ভূতভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে মাদ্রাসা সুপার ও ম্যনেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে ৩০ লক্ষ টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে সরকারি বিধি বিহভর্ূূতভাবে ভুয়া পোস্টে ২ ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়ে বেতন ভাতা উত্তোলন করার ঘটনায় এলাকাবাসী মাদ্রাসার সুপার মাওলনা জাফর উদ্দিনকে এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে। তবে কারনার জন্য মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি। এদিকে অবৈধ নিয়োগবাণিজ্য এবং সরকারি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিতভাবে দাবি জানিয়েছেন আবুল বাশার চাপরাশীসহ ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককর্মচারী এবং এলাকাবাসী।
মাদ্রাসার ম্যনেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি জাহাঙ্গির আলম এবং অপর শিক্ষক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা জানান, মাদ্রাসার সুপার মাওলানা জাফর উদ্দিন ম্যনেজিং কমিটির কাউকে না জানিয়ে এবং শিক্ষক প্যাটার্নের বাইরে হাফেজ আমদ এবং রফিকুল ইসলাম নামের ২ ব্যক্তির কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকা নিয়ে  গোপনে এবং অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছে। সম্প্রতি মাদ্রার এমপিও সিটে নতুন ২ শিক্ষকের নাম দেখে বিষয়টি ম্যনেজিং কমিটির সদস্যরাসহ অন্যরা জানতে পারেন এবং সকলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। ম্যনেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি জাহাঙ্গির আলম ও শরীর চর্চা শিক্ষক বশির আহমেদ আরও জানান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে যোগসাজসে সরকারি বিধি লংঘন করে নিয়োগ দেয়া ২ শিক্ষকের বেতন ভাতা আলাদা কাগজে বিল করে গোপনে ব্যাংকে জমা দিয়ে টাকা উত্তোলন করছেন মাদ্রাসার সুপার মাওলানা জাফর উদ্দিন। দুর্নিতিবাজ ওই সুপারকে এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে এবং যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে সরকারি টাকা আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপুর মাওলানা জাফর উদ্দিন জানান, তিনি ওই দুই শিক্ষককে ২০১৪ সালের আগে বিজ্ঞান শাখায় নিয়োগ দিয়েছিলেন। বিজ্ঞান শাখায় তাদের বেতন এসেছে।
তবে মাদ্রাসার শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি চরফ্যাসন আলীয়া মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপল মাওলানা নুরুজ্জামান জানিয়েছেন তিনি ওই মাদ্রাসায় গত ১ বছর সভাপতির দায়িত্বে আছেন। ওই মাদ্রাসায় বিজ্ঞান শাখা বলতে কিছু নেই। নতুন ২ শিক্ষকের নিয়োগ তিনি দেননি। তাদের বেতন ভাতা উত্তোলনের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।