অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাশনে কৃষকের রান্নাঘরে আগুন দেয়ার অভিযোগ


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২ই সেপ্টেম্বর ২০২০ রাত ০৯:৩৯

remove_red_eye

৭৭২



চরফ্যাশন প্রতিনিধি : পূর্ব  শত্রুতার জের ধরে চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের আয়শাবাগ গ্রামে কৃষকের রান্নাঘরে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।  গত শুক্রবার (১১সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে ওই কৃষকের রান্নাঘরে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।  
কৃষক আবদুর রব হাওলাদারের ছেলে আবদুর রহিম নান্নু হাওলাদার (৬৫) জানান, গত শুক্রবার বিকেলে ঘরের মহিলারা রান্না শেষে চুলার আগুন নিভিয়ে দুপুরের খাবার শেষে চিকিৎসার জন্য তার স্ত্রীকে বেতুয়া ঘাট থেকে ঢাকার লঞ্চে উঠিয়ে দেন।

রাতে খাবার শেষে তার পুত্রবধু আসমা বেগম(৩৬) ও নাতনীরাসহ ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক দেড়টায় রান্নাঘরে আগুনের লেলিহান শিখা ও অধিক তাপমাত্রায় ঘুম ভেঙ্গে যায় তাদের। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

পরদিন শনিবার সকালে আসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরে আলম মাস্টারসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানালে তারা পরিদর্শন করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

আবদুর রহিম আরও জানান, প্রতিবেশি আবু জাহের খান (৫৫) নামের এক ব্যক্তির সাথে পূর্ব থেকে শত্রæতা চলে আসছে। সম্প্রতি সিপিপি’র নতুন সদস্য অন্তর্ভূক্তিকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকটি হয়। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানিয় অনেকের সামনেই তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এছাড়াও পূর্বে থেকেই জাহের গং দের নামে একটি ডাকাতি মামলা করা হয়েছিল। ওই মামলার ফয়সালা হলেও শত্রæতার রেশ এখনো কাটেনি। আগুনের ঘটনায় এখন সন্দেহের তীর আবু জাহের খানের দিকেই। এই আগুন না নিভলে ৪টি বসত ঘরসহ জানমালের পর্যাপ্ত ক্ষতি হতে পাড়তো বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

ওই এলাকার জয়নাল আবেদিন(৫০) বলেন, ইতোপূর্বে কোনো এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবু জাহের স্থানীয় অনেকের সামনেই রহিমকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। তবে এ ঘটনার সাথে তাদের হাত থাকতে পারে।

তবে অভিযুক্ত জাহের খানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আগুনের বিষয়টি আমি সকালে শুনেছি। তবে এর সাথে আমর বা আমার পরিবারের কোনো যোগসূত্র নেই।

এঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি নুরে আলম মাস্টার বলেন, সকালে আবদুর রহিম নান্নু আমাকে বিষয়টি জানালে আমি বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছি।


চরফ্যাশন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মনির হোসেন মিয়া জানান, থানায় এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।