অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাশনে ব্রাদার্স ফিলিং স্টেশনে তেলে পানির মিশ্রণ দেয়ার অভিযোগ


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৮শে আগস্ট ২০২০ রাত ১০:০৩

remove_red_eye

৬১২



এআর সোহেব চৌধুরী,চরফ্যাশন থেকে : চরফ্যাশন উপজেলার একমাত্র তেলের পাম্প ব্রাদার্স ফিলিং স্টেশনে তেলের সাথে পানির মিশ্রণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, দির্ঘদিন ধরে ডিজেল,পেট্রল ও অকটেনের সাথে পানি মিশিয়ে এবং মাপে কম দিয়ে আসছে এ প্রতিষ্ঠানটি।
এছাড়াও গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মেসার্স ব্রাদার্স ফিলিং স্টেশন কর্তৃক চরফ্যাশনের পৌর মেয়রের গাড়িসহ একাধিক ব্যক্তির গাড়িতে পানি মিশ্রিত তেল দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করছে এবং উপজেলা প্রশাসনের ভ্রামমান অভিযান চেয়ে বিষয়টি নিয়ে একাধিক আইডি থেকে পোস্ট দিলে ওই পোস্টটি  দ্রæত শেয়ার হলে ফেসবুক ভাইরাল হয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি বলেন, বরিশাল থেকে তেল আনার পথে যে কোনো স্থান থেকে তেল পরিবহনের সাথে জড়িত ব্যক্তি এবং ড্রাইবার কর্তৃক ডিজেল পেট্রল ও অকটেনে পানি মিশ্রণ করার ফলে বিভিন্ন গাড়িসহ সকল মেশিনারী দুর্বল ও অকেজো হচ্ছে।
এদিকে ভুক্তভোগী, চরফ্যাশন কুকরি মুকরি ইউনিয়ের এইচ এম শাহীন, পৌর শহরের বাসিন্দা আমজাদ জমাদার, রোমান কাজী, মোঃ আলাউদ্দিন, সরোয়ার হোসাইনসহ একাধিক ব্যক্তি বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে ফেসবুকে লিখেন, শান্তির জনপদ চরফ্যাশনে সাধারণ জনগণ যেন আর এমন প্রতারণার শিকার না হন।

পৌর সভা ৪নং ওয়ার্ডের মটর সাইকেল মালিক নোমান বলেন, আমি তেল মটর সাইকেলের ট্যাংকি ভরে নিয়েছি। কিন্তু দেখা যায়, পানির জন্য মটরসাইকেলের প্লাগ দ্রæত নষ্ট হয়। তেলে পানির কারণে ইঞ্জিনে সমস্য দেখা দেয়। জসিম উদ্দিন বলেন, আমি এই পাম্প থেকে তেল নিয়ে দুলারহাট যাওয়ার পর মটর সাইকেল হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। মিকার বলেছেন তেলে পানি থাকায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। এভাবে মটর সাইকেল, ট্রাক ও মাইক্রবাসের মালিক ও ড্রাইভারগন হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে।

এবিষয়ে শুক্রবার (২৮আগস্ট) দুপুরে  ওই প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক  মোঃ সরওয়ার বলেন, পৌর মেয়র পানি মিশ্রিত তেলের বিষয়টি আমাদের জানালে তাৎক্ষনিক আমরা ওই তেল সংশোধন করে দেই। তেল মাপে কম দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতি মাসে প্রচুর তেলের ঘাটতি হয় তবে মাপে আমরা কম দেইনা বিএসটিআই এখানে আসে এবং তারা পর্যবেক্ষণ করেন।
এ ছাড়াও সমুদ্র পথে তেল আসায় প্রাকৃতিক কারণে তেলে পানির মিশ্রণ হতে পাড়ে। সরকারি দামের চাইতে বেশি দামে বিক্রির তথ্য রয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তেল আনতে ফেরি ভাড়াসহ যাতায়াতে প্রচুর খরচ হচ্ছে তাই তেলের দামটা একটু বেশি পড়ে। তবে তিনি সরকারি দামে তেল বিক্রির তালিকা দেখাতে রাজি হননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহুল আমিন জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং ঊর্ধ্বোতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে।