অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরনের অভিযোগে বিজেপি অফিস ভাঙচুর


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ রাত ০৯:৫৮

remove_red_eye

৪৫

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক :  ভোলার রাজাপুর ইউনিয়নে গেলো কয়েক দিন আগে ছাত্রদল নেতা রিফাত হত্যার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবীতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপির) কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

এ সময়  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের গুলি। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ফাঁকা গুলি ছুড়ে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।  সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে ভোলা শহরের নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ডিসেম্বর সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা সিফাতকে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনার প্রতিবাদে ও ছাত্রদল নেতা সিফাত হত্যার বিচারের দাবিতে সোমবার বিকালে জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের সদর রোড হয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সামনে দিয়ে যায়। এ সময় মিছিলের পিছনের অংশে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে বলে বিএনপি অভিযোগ করেন। এঘটনায় বিএনপির মিছিলে থাকা একটি অংশ উত্তেজিত হয়ে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায় ও অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর সহ মালামাল তছনছ করে । প্রায় আধাঘন্টা ব্যাপী নতুন বাজার এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে। এ সময় বিজেপির অফিসের সামনে আন্দালিব রহমানের লিফলেট রাস্তায় ছড়িয়ে দেয়।পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। 
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যান অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিজেপির কিছু কর্মীরা ককটেল ও গুলি ফাটিয়ে পরিস্থিতি অশান্ত করে। 
অন্যদিকে এ ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মনিরুল ইসলাম। এসময় তাদের দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিএনপির আনা ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করেন বলেন, বিএনপির সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। নির্বাচন সামনে রেখে একটি গ্রুপ শান্ত পরিবেশকে নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।
ভোলা মডেল থানার ওসি মুহম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে । বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান  সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে কি না তদন্ত করে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে।