অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় আবাসিক হোটেল থেকে ব্যবসয়ারী ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৫ রাত ০৮:০৪

remove_red_eye

৪৩

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক: ভোলা শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে মো. আমির হোসেন (৩৪) নামের এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর)  দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভোলা শহরের কে. জাহান মার্কেটের “হোটেল কে. জাহান” এর ২০২ নম্বর কক্ষ থেকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আমির হোসেন ভোলার লালমোহন উপজেলার পৌরসভা ১নম্বও ওয়ার্ডের মহসিন তালুকদারের ছেলে। সে লালমোহন পৌরসভা যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, ২৫ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে শহরের হোটেল কে. জাহানের তৃতীয় তলার ২০২ কক্ষে উঠেন আমির হোসেনন। ২৬ ডিসেম্বর রাতে হোটেলের লোকজন রুম চেক করতে গিয়ে দরজা নক করলে ওই রুমের ভিতর থেকে কোনো সারা না পেয়ে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন রুমের সিলিং ফ্যানের সাথে মাফলার দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় আমির হোসের মরদেহ ঝুলতেছে। পরে সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতের বড় ভাই মো. জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আমির হোসেন লালমোহনে রড-সিমেন্টের ব্যবসা করতেন। তার স্ত্রী ও ৭ বছর এবং ২ বছর বয়সী দুই জন ছেলে সন্তান রয়েছে। ধারদেনার কারনে ব্যবসা বন্ধ রেখে বর্তমানে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ দেখাশোনার চাকরি করেন। হাতিয়া ও লক্ষ্মীপুরে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ চলমান রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বাড়ি থেকে হাতিয়া যাওয়ার কথা বলে রওনা করেন। পরে শুক্রবার রাতে তারা খবর পান ভোলা শহরের হোটেল থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

তিনি আরো জানান, এক নারীর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তার ব্যবহৃত মোবাইলে সেটির প্রমানও পাওয়া গেছে এবং ওই নারী হোটেলে এসেছে বলেও তারা জানতে পেরেছেন। তার ধারণা পরকিয়ার কারনে ব্লাকমেইলের শিকার হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তারা এ ঘটনায় মামলা করবেন। 
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে ।