তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে শুভেচ্ছা জানাতে

বাংলার কণ্ঠ  প্রতিবেদক : দীর্ঘদিন পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ভোলার বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা গেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলা থেকে লক্ষাধিক বিএনপি নেতাকর্মী ঢাকায় অংশগ্রহণ করবেন। গত তিন দিন ধওে  দলে দলে ঢাকায় যাচ্ছেন। ভোলা জেলার ৭ উপজেলা থেকে আজ বুধবার সন্ধ্যার ১০টি লঞ্চযোগে  ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুল আলম জানান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীরের নেতৃত্বে ভোলা সদর উপজেলা থেকে প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন। জেলার অন্যান্য ৭ উপজেলা থেকেও বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। বুধবার রাতে ১০ টি লঞ্চ ভোলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে নেতা কর্মীদের নিয়ে যাত্রা করবেন। এ ছাড়া তিন দিন আগ থেকে জেলার আরো ৫০ হাজার বিএনপি নেতাকর্মী ঢাকায় যেতে শুরু করেছে। ঢাকায় অবস্থান করে ওই সব নেতাকর্মীরা ভোলার পক্ষে মিছিল করছেন।  ভোলার লঞ্চ ঢাকার কাঞ্চন ব্রিজ এলাকায় গিয়ে থামবে ।  সেখান থেকে পায়ে হেটে তিনশ ফুট জনসভায় যোগ দেবন নেতাকর্মীরা। এমন বিশাল আয়োজন এর আগে আর কখনও ঘটে নি। এবারই একাযোগে এত লঞ্চ  ভোলাসহ দক্ষিানাঞ্চল থেকে ঢাকায় যাচ্ছে।  ভোলা থেকে রাত ১০টায় একযোগে লঞ্চগুলো ছাড়বে। 
নেতাকর্মীদের জন্য লঞ্চেই থাকছে খাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা। সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসিফ আলতাফ জানান , দেশ নায়ক তারেক রহমানকে  বরণ করতে শুধু বিএনপি নয় , রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয় এমন মানুষও জেলা থেকে রওনা হন। সদর উপজেলার জন্য নির্ধারিত এমভি ফারহান-৯ লঞ্চ রয়েছে। মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার আলম খান জানান, ওই উপজেলা থেকে দুটি লঞ্চে ১০ হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। একটি লঞ্চ ছাড়ে উপজেলার লঞ্চঘাট থেকে। অপরটি  হাকিমউদ্দিন ঘাট থেকে। দৌলতখান পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ বশির আহমেদ জানান, দৌলতখান লঞ্চঘাট থেকে একটি লঞ্চযোগে তারা ৫ হাজার নেতাকর্মী রওনা হন। তজুমদ্দিন উপজেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক ওমর আসাদ রিন্টু জানান, তারা লঞ্চ রিজার্ভ পান নি। তাই দুই দিন আগে থেকেই নেতাকর্মীরা যাত্রীবাহী লঞ্চে ঢাকায় আসতে শুরু করেছে। লালমোহন উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সফিকুল ইসলাম বাবুল জানান, দুইটি লঞ্চে ওই  নেতাকর্মীরা বুধবার ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ে। একটি লঞ্চ ছাড়বে লালমোহন নাজিরপুর থেকে। অপরটি ছাড়বে মঙ্গলসিকদার থেকে। চরফ্যাশন বিএনপি নেতৃবৃন্দ জানান ৩টি লঞ্চে চরফ্যাশন থেকে নেতাকর্মী ঢাকায় আসছে। এ ছাড়া কয়েক হাজার নেতাকর্মী বিকালেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।   জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মাসুদ ও সদস্য সচিব মুনতাসির আলম রবিন জানান, তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকেও সহস্রাধিক নেতাকর্মী যুক্ত হন। একই ভাবে যুবদল, শ্রমিক দল, কৃষক দল পৃথক পৃথক ব্যানার নিয়ে যোগ দেন। 
এদিকে মনপুরা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুল মান্নান জানান, তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন। তার পরও উপজেলা থেকে একটি লঞ্চ যোগে নেতাকর্মীরা ঢাকার আসার ব্যবস্থা করেন বলে জানান।  বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরণ করতে ভোলার মনপুরা ও চরফ্যাসন উপজেলার ১০ হাজারের বেশি বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঢাকার পথে রওয়ানা করেছেন।  বুধবার সকাল থেকে বাস ও লঞ্চ যোগে ঢাকার পথে রওয়ানা করেছেন নেতা-কর্মীরা।
এছাড়াও ভোলা-৪ (চরফ্যাসন-মনপুরা) আসনের ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন এর উদ্যোগে মনপুরা ও চরফ্যাসন উপজেলার নেতা-কর্মীদের জন্য তিনটি লঞ্চ এর ব্যবস্থা করেছেন।
বুধবার বিকেল ৪ টায় মনপুরা উপজেলা বিএনপিসহ সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে রামেনওয়াজ ঘাট থেকে এমভি ফারহান-৮ ও চরফ্যাসন উপজেলার বেতুয়া ও ঘোষের হাট থেকে রাত ৯ টায় নেতা-কর্মীদের এমভি জাকির সম্রাট-৪ ও এমভি শাহরুখ-২ লঞ্চ ঢাকায় যাবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন মনপুরা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য আবদুল মন্নান হাওলাদার।
তিনি জানান, ইতিহাসের অংশ হতে চরফ্যাসন ও মনপুরা উপজেলার ১০ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীরা লঞ্চযোগে ঢাকার পথে। ভোলা-৪ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম নয়ন ৩ টি লঞ্চ দেওয়ায় নেতা-কর্মীরা বেশ উৎফুল্ল।
মনপুরা উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ইকরাম কবির ও স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব হোসেন হাওলাদার সহ একাধিক নেতা-কর্মীরা জানান,লিডার (তারেক রহমান) আসছে। নেতাকে বরণ করতে যেতে পেরে নেতা-কর্মীদের উৎসাহ বিরাজ করছে।
এদিকে অনেকে বরাদ্ধকৃত লঞ্চে জায়গার সমস্যা হবে এমনভেবে সকাল বেলায় নিজ উদ্যোগে হাতিয়ার ৪ নম্বর ঘাট হয়ে বাস যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেছে। অনেকে আবার সীট্রাকে তজুমুদ্দিন হয়ে ঢাকার পথে রওয়ানা হয়ে গেছে।