অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শনিবার, ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাশন-ঢাকা রুটে বাল্কহেডের সাথে যাত্রীবাহী ফারহান-৫ লঞ্চের সংঘর্ষ


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৫ সকাল ০৮:২৪

remove_red_eye

৮৫

চরফ্যাশন প্রতিনিধি : ভোলার চরফ্যাশন-ঢাকা নৌ রুটের এমভি ফারহান-৫ লঞ্চটি মেঘনা নদী অতিক্রমের সময় ঘনকুয়াশার মুখে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের ( কার্গো) সঙ্গে সংঘর্ষে লঞ্চের অনেকাংশ বিধস্ত হয়েছে।

এ সময় আহত হন কম পক্ষে ১০ যাত্রী। লঞ্চটি রোববার সন্ধ্যায় চরফ্যাশনের বেতুয়া ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ে। রাতে মেঘনা নদী অতিক্রমের সময় ঘনকুয়ার মুখে পড়ে। ওই সময় নদীতে  রাতে চলাচল নিষিদ্ধ কার্গোটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এদিকে সোমবার দুপুরে লঞ্চ কোম্পানির  পরিচালক রিফাত হোসেন জানান, লঞ্চের ডান পাশের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে যাত্রী আহত হন নি। দুর্ঘটনা কোন এলাকায় হয়েছে তা তিনি জানাতে পারেন নি। কিন্তু লঞ্চের সিসি ক্যামেরা ও যাত্রীদের করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, লঞ্চের ডান পাশের অনেকাংশ ভেঙে চুরমাচুর হয়েছে। ওই সময় ঘুমন্ত যাত্রীরা আহত হন। অনেকের শরীরের বিভিন্ন স্থান কেটে যায়। 

ওই কোস্পানির অপর এক লঞ্চের সুপারভাইজার জানান, ব্যাপক ক্ষতির বিষয়টি তারা  জেনেছেন। দুর্ঘটনার পর থেকে এমভি ফারহান-৫ লঞ্চের স্টাফরা কেউই ফোন ধরছিলেন না। সোমবার বিকাল পর্যন্ত তাদের সঙ্গে যোগযোগের চেষ্টা করা হয়। ভোলার বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী পরিচালক ও নদীবন্দর কর্মকর্তা নির্মল কুমার রায় জানান, দুর্ঘটনার বিষয় কোন পক্ষই তাদের কিছু জানান নি। দুর্ঘটনার পর লঞ্চ যাত্রীদের কি অবস্থা হয়েছে তাও তারা জানতে পারেন নি। তবে লঞ্চ কোম্পানির তরফ থেকে জানানো হয়, যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। তাতে কোন সমস্যা হয় নি।

এদিকে বেতুয়াঘাটে নতুন স্থাপিত বন্দর কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, লঞ্চটি রোববার সন্ধ্যা ৫টায় ছেড়ে যায়। রাতে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও  ওই বাল্কহেড আইন না মানার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। ওই অবস্থায় লঞ্চটি ঢাকায় যেতে সমস্যা হয় নি। যাত্রীদের ঢাকা সদর ঘাটেই নামিয়ে দেয়া হয়েছে।