অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


এবার এনসিপি নেতার মাথায় গুলি, অবস্থা আশঙ্কাজনক


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২শে ডিসেম্বর ২০২৫ বিকাল ০৪:৩৬

remove_red_eye

৪৮

রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার মাথায় গুলির ঘটনা ঘটেছে। তার নাম মোতালেব শিকদার। তিনি এনসিপির খুলনা বিভাগীয় প্রধান এবং দলটির শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রকাশ্যে তাকে গুলি করা হয়েছে বলে জানান এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব সাইফ মুস্তাফিজ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মোতালেবকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে মোতালেবকে প্রকাশ্যে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। উপস্থিত জনতা দ্রুত উদ্ধার করে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়তে চেয়েছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মোটরসাইকেলে আসা দুই সন্ত্রাসীর গুলিতে মারাত্মক আহত হন তিনি।

রিকশায় থাকা অবস্থায় হাদির মাথায় গুলি লাগে। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, পরে অবস্থার অবনতি হলে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হলে সেখানে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতে দুঃখজনক এই খবর পৌঁছে দেশে, ক্ষোভে ফেটে পড়ে মানুষ। পরদিন আসে মরদেহ, এরপর ঠিক হয় বিদায় জানানোর ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা।

শনিবার ময়নাতদন্তের পর জাতীয় সংসদ সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জানাজা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে সমাহিত করা হয় বিপ্লবী এই তরুণকে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদিকে দাফন করার দুই দিন পর খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির খুলনা বিভাগীয় প্রধান মোতালেব শিকদারকে গুলির ঘটনা ঘটলো।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনিমেষ মণ্ডল বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। হামলার কারণ ও জড়িতদের শনাক্তে কাজ চলছে।

মোতালেব শিকদারকে গুলি করার পর ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।