অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ১লা নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


লালমোহনে মাদক ব্যবসায়ী ধরতে গিয়ে পুলিশের উপর হামলা


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৪শে আগস্ট ২০২০ রাত ১০:৪৫

remove_red_eye

৪৬৮






লালমোহন  প্রতিনিধি :  ভোলার লালমোহন পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডে মাদক উদ্ধার অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন কাওসার হোসেন (২৬) নামের এক গোয়েন্দা পুলিশ সদস্য। তার মাথায় মাদক ব্যবসায়ীরা ইট দিয়ে পিটিয়ে থেতলে দেওয়াসহ ব্যাপক মারধর করেছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে রোববার রাতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে ওই রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার লক্ষে ঢাকায় নিয়ে যায়। রোববার রাতে পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের চরছকিনা এলাকার আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী মিরাজকে ধরতে গিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ডিবি পুলিশ রাতে লালমোহন থানা পুলিশ নিয়ে হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে এলাকায় অভিযান চালান। এসময় পুলিশের হাতে এলাকার কাউন্সিলর সিরাজ মাতাব্বর শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছে বলে সোমবার সন্ধ্যায় এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত মিরাজ তার ভাই। কিন্তু তিনি সবসময় ভাইয়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। মিরাজকে না পেয়ে পুলিশ গণহারে এলাকার নারী পুরুষদের গ্রেফতার শুরু করে। গণহারে গ্রেফতারের কারণ জিজ্ঞেস করলে থানার এসআই শওকত জামিল কাউন্সিলর সিরাজ মাতাব্বরকে মারপিট চর লাথি মারতে থাকে। এসময় ঘরে ঘরে গিয়ে নারী পুরুষদেরও মারধর করে পুলিশ। কাউন্সিলরের উপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে পৌরসভার মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন ও পৌরসভার সকল কাউন্সিলরগণ সোমবার সন্ধ্যায় এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে জেলা পুলিশ সুপারকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান।
লালমোহন থানার ওসি মীর খায়রুল কবীর জানান, রোববার রাত ৯টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মর্যাদার এক কর্মকর্তার সাথে লালমোহন থানার ১০ নং ওয়ার্ডের চরছকিনা এলাকায় মাদক উদ্ধার অভিযানে যান ডিবি পুলিশ। ওই এলাকার আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী মিরাজ। তাকে ধরতে কৌশল অবলম্বন করতে ডিবি সদস্য আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এক পর্যায়ে ইয়াবাসহ হাতে নাতে গ্রেপ্তার করে হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে দেন। এসময় মিরাজের স্ত্রী কহিনুর, মিরাজের সহযোগি মাসুম এগিয়ে এসে ডিবি পুলিশের উপর হামলা চালায়। মাসুম ইট দিয়ে ডিবির কনস্টেবল কাওসার হোসেনকে মাথা থেতলে দেন এবং বেধম মারধর করে পালিয়ে যায়। মাদক ব্যবসায়ী মিরাজের বিরুদ্ধে ৬/৭ টি ইয়াবা মামলা রয়েছে। এর আগেও ২৭০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়েছে মিরাজ। রোববারের ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই শংকর বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ৬জনকে চিহ্নিত করে ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে লালমোহন থানায় মামলা দায়ের করেন।
কাউন্সিলর সিরাজ মাতাব্বরকে মারপিট প্রসঙ্গে ওসি জানান, তার সাথে সেরকম কিছুই হয়নি। তিনি উল্টো পুলিশকে ধাক্কা দেয়। তারপরও অজ্ঞাতে কিছু হয়ে থাকলে আমরা ব্যবস্থা নেব।