অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় অবিরাম বৃষ্টিপাতে খেটে খাওয়া চাষী ও জেলেরা কর্মহীন


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২শে আগস্ট ২০২০ রাত ১০:০৩

remove_red_eye

৭১৩


এআর সোহেব চৌধুরী,চরফ্যাশন :  র্দীর্ঘ দশদিন ধরে টানা বর্ষণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার উপকূলবর্তী নিম্নাঞ্চল ও বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের হাজারো খেটে খাওয়া চাষি,দিন মজুর ও জেলেরা। ধারাবাহিক এ বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে শতশত মাছের ঘের ও পুকুর এবং খামার। ডুবেছে হাজার হেক্টর ফসল ও সবজির ক্ষেত খামার। অঝোর বৃষ্টিতে কাজকর্ম করতে না পেরে অসহায়ভাবে দিনাতিপাত করছে উপকূলের হাজারো জেলে পরিবার।
স্থানীয় সামরাজ ও বেতুয়া ¯øুইস ঘাট এলাকার একাধিক জেলে ও মৎস ব্যবসায়ীরা জানান, বাতাস তুফান ও বৃষ্টির জন্য ঘরবন্দী জেলেরা নদী এবং সাগরে যেতে না পাড়ায় মাছের চালান পাঠাতে পারছেননা তারা। এছাড়াও কয়েকদিন লঞ্চ ও নৌ ট্রলার বন্ধ থাকায় স্থানীয় বাজার সহ বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাজারে মাছ রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে।
এদিকে উপজেলার শশিভূষণ,  আঞ্জুরহাট,মানিকা,দক্ষিণ আইচা,দুলারহাট,আসলামপুর,মাদ্রাজ ও আমিনাবাদ ইউনিয়নের সবজী খামারীদের  বিভিন্ন তরি তরকারি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আড়তদারদের প্রচুর দামে তরকারী আমদানি করতে হচ্ছে। ফলে স্থানীয় বাজারে তরি তরকারির দামও বেড়েছে কয়েকগুণ।
চরাঞ্চলের শুটকিপল্লীতেও কর্মহীন হয়ে পড়েছে শতশত কর্মী, নুরাবাদের শুটকি প্রস্তুতকারক নারায়ণ চন্দ্র জানান, বর্ষার শুরু থেকেই টানা বৃষ্টির জন্য ঘরবন্দী হয়ে আছি। কাজকর্ম না থাকায় এবং বৈরী আবহাওয়ায় শুটকি উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।

এবিষয়ে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন, ইলিশের ভরা মৌসুমে বৃষ্টিপাতের জন্য  চরফ্যাশন উপজেলার প্রায় ২৫ হাজার জেলে নদী-সাগরে যেতে পাড়ছেনা এবং ঘরবন্দী। এছাড়াও স্থানীয় আড়াই হাজার পুকুর ও মাছের ঘের তলীয়ে যাওয়ায় প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতী হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, জেলে ও কৃষকসহ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ২০টন চাল বরাদ্দ হয়েছে এবং তা বিতরণ করা হচ্ছে।