অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


‘খালেদা জিয়ার জন্য প্রস্তুত এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, অবস্থা বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত’


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৯শে নভেম্বর ২০২৫ বিকাল ০৪:১৩

remove_red_eye

৮৮

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন হলে দ্রুত বিদেশে নেওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান। তিনি বলেন, বিদেশে নেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা তৈরি হলেই কেবল এ ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। 

শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

আযম খান বলেন, খালেদা জিয়া সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে কথা হয়েছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা অনুমতি দিলেই তাকে বিদেশে নেওয়া হবে।

২৩ নভেম্বর ফুসফুসে সংক্রমণ ও হৃদযন্ত্রের জটিলতা দেখা দেওয়ায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় ৮০ বছর বয়সী এই নেত্রী বহুদিন ধরেই জটিল রোগে ভুগছেন। বর্তমানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডের অধীনে সিসিইউতে তার চিকিৎসা চলছে।

শনিবার সকালে খালেদা জিয়াকে দেখতে আসেন ডাকসুর সাবেক এজিএস ও বিএনপি নেতা নাজিমুদ্দিন আলম। বাইরে এসে তিনি দলের নেত্রীকে নিয়ে সবার কাছে দোয়া চান। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, বেগম জিয়ার অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত। চিকিৎসা ও বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে মেডিকেল বোর্ড।

এদিন সকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে জানান, খালেদা জিয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন হলেও তিনি সজাগ আছেন এবং চিকিৎসকদের নির্দেশনা বুঝতে পারছেন।

 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বর্তমান শারীরিক অবস্থায় খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়া সম্ভব নয়। পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল হওয়া প্রয়োজন।

বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতির খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। তার রোগমুক্তি কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও শুক্রবার তার স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানান এবং নিয়মিতভাবে অগ্রগতির খোঁজ রাখছেন। প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশও দিয়েছেন।

শুক্রবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও বিশেষ সহকারী মনির হায়দার হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।