অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


১৩ ঘণ্টার ব্যবধানে ৩ বার কাঁপল দেশ


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৭শে নভেম্বর ২০২৫ বিকাল ০৫:৩৯

remove_red_eye

৮৪

মাত্র ১৩ ঘণ্টার ব্যবধানে বাংলাদেশে পরপর তিনটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর ফলে দেশজুড়ে জনগণের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। স্বল্প সময়ে এমন ঘন ঘন কম্পন দেশের ভূতাত্ত্বিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

যদিও কম্পনগুলোর মাত্রা ছিল মৃদু-মাঝারি, তবুও সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন।

ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, গতকাল মধ্যরাত ৩টার পর থেকে আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে প্রায় ১৩ ঘণ্টার মধ্যে এই কম্পনগুলো অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনগুলোর মাত্রা ছিল মাঝারি বা হালকা।

এর মধ্যে প্রথম ভূমিকম্প অনুভূত হয় গতকাল মধ্যরাতে। রাত ৩টা ২৯ মিনিটে টেকনাফ থেকে ১১৮ কিলোমিটার দূরে ৪ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এ ভূমিকম্পে কেঁপেছে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ শহর।

ভূকম্পনবিষয়ক ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারি জানিয়েছে, টেকনাফে খুব অল্প ঝাঁকুনি দেওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ এটি টের পাননি।

ভলকানো ডিসকভারি বঙ্গোপসাগরের ভূমিকম্পের উৎপত্তির গভীরতার তথ্য জানাতে না পারলেও ইএমএসসি বলেছে, এটি মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়েছিল।

এরপর রাত ৩টা ৩০ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডে সিলেটে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৪। এটি মৃদু ভূমিকম্প হওয়ায় অনেকেই টের পাননি।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৩০ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডে ৩ দশমিক ৪ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মনিপুরে। এরপর আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তৃতীয় কম্পনটি অনুভূত হয়। যার মাত্রা ছিল ৩.৬।

ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে এ কম্পন অনুভূত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে, গত ২১ নভেম্বর সকালে ভূমিকম্পের তীব্র ঝাঁকুনিতে ঢাকাসহ সারাদেশ কেঁপে ওঠে। এ ঘটনায় শিশুসহ ১০ জন নিহত ও ছয় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭।