অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় অতি জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯শে আগস্ট ২০২০ রাত ১০:৩২

remove_red_eye

৭১৭





আকতারুল ইসলাম আকাশ : বৈরী আবহাওয়ার কারণে আবারও ভোলার  মেঘনা নদী উত্তাল হয়ে উঠেছে। বুধবার সকাল থেকে দিন ভর থেমে থেমে হালকা ও ভারি বৃষ্টি পাত হয়েছে। বিকালে মেঘনার পানি বিপদসীমার ৪.৩৫  সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।  যা ছিলো গত ৫ আগষ্ট যে পানি বৃদ্ধি পেয়েছিলো তার চেয়েও বেশী  সর্বোচ্চ রেকর্ড। যার ফলে সদর উপজেলার ইলিশা, রাজাপুর, ধনিয়া, কাচিয়া, ভেদুরিয়া,শিবপুর মাছঘাটসহ দৌলতখানের মদপুর, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, মনপুরা ও চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাঁধের উপর দিয়ে ও  আবার বাঁধের বাইরে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানি লোকালয়ে ডুকে পড়েছে। দুপুরে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট এলাকা অতি জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসময় ঢাকাগামী অনেক যাত্রী লঞ্চে উঠতে না পেরে ফিরে গেছে।
জেলার মনপুরার কলাতলি চর, ঢালচর, চর নিজাম, কাজীর চরসহ নি¤œাঞ্চলগুলো ৪ থেকে ৭ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে।  ভোলার রাজাপুর, দক্ষিণ চরপাতা, নাছির মাঝি এবং তুলাতুলী এলাকায় পানি ডুকে জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ভোলা শহর রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্থানে মেঘনার জোয়ারের পানি আঘাত হানায় পানি উন্নয়ন বোর্ডেও বেড়ি বাঁধ ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় হুমকির মধ্যে পড়েছে। যার কারনে মেঘনারতীরবর্তী ইলিশা ধনিয়া,কাচিয়া ও রাজাপুর এলাকায় বাঁধ সংলগ্ন বসবাসকৃত পরিবার গুলো আতংকের মধ্যে রয়েছে। তাই স্থানীয় এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এবং ঝূঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন। এদিকে পাউবোর ঝুঁকিপূর্ণ বেড়ি বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেন ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, এক দিকে উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানির  চাপ। অপরদিকে পূর্ণিমা সেই সাথে যুক্ত হয়েছে সাগরে সৃষ্টি নিম্মচাপ, ফলে মেঘনা নদীতে বুধবার বিকালে জোয়ারের পানি বিপদ সীমার প্রায় ৪.৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি স্পটে বেড়িবাঁধ ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলেও তিনি জানান পাউবোর এই কর্মকর্তা। 





আরও...