অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে: আইজিপি


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৮ই নভেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা ০৬:১৮

remove_red_eye

১১০

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ফ্যাসিবাদ সরকার পালিয়ে গেছে গণমানুষের প্রতিরোধে। গত বছর ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে তাদের উৎখাত হয়েছে। এ পলাতক ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী আবারও যদি বিশৃঙ্খলা বা অপরাধ করার চেষ্টা করে, তাহলে জনগণই তাদের প্রতিরোধ করবে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বেশ কয়েকটি ফেসবুক পেজে লক্ষ্য করা যাচ্ছে আগামী ১৩ নভেম্বর ফ্যাসিবাদের পক্ষ থেকে আন্দোলন বা ব্লকেডের হুমকি দেওয়া হচ্ছে—এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।

পুলিশ প্রধান বলেন, পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী যদি দেশে আবার বিশৃঙ্খলা বা অপরাধ করার চেষ্টা করে তাহলে জনগণই তাদের প্রতিরোধ করবে। গণঅভ্যুত্থানের মুখে এ ফ্যাসিবাদ সরকার পালিয়ে গেছে। দেশের জন্য, জনগণের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে এবং করে চলেছে। যেসব ফেসবুক পেজ থেকে পলাতক ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে, সেই পেজগুলোকে নিয়ে গোয়েন্দারা কাজ করছে।

আইজিপি আরও বলেন, আমাদেরকে আইন মান‍্যতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। ৯০ শতাংশ মানুষকে আইন-কানুন মানতে হবে, নিয়ম মাফিক চলতে হবে। বাকি ১০ শতাংশ না হয় আইন মানবে না । তাদের মোকাবিলায় নিয়ম অনুযায়ী পুলিশ কাজ করবে। কিন্তু আগে তো ৯০ শতাংশ মানুষকে আইন মানতে হবে।

সেদিনও পাঁচটি পৃথক জায়গায় বিভিন্ন দাবি-দাওয়া কেন্দ্র করে রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও দাবি আদায়ের জন‍্য সড়ক অবরোধ চলছে। পুলিশ ইচ্ছা করলে এদের যেকোনো সময় বল প্রয়োগ করে উঠিয়ে দিতে পারে, কিন্তু পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে তাদের বুঝানোর চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে চালাচল করতে না পারা নাগরিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা মানে এই নয় যে, সামাজিক মাধ‍্যমে কাউকে গালাগালি করা। অথবা কারও রাস্তা বন্ধ করে রাখা। এগুলো প্রতিরোধে নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি পুলিশ ও সহায়ক অন‍্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তো আছেই। বর্তমানে দেশের মানুষ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। 

 

নির্বাচন চলাকালে দেশের কোথাও কোনো ভোটকেন্দ্রে সন্ত্রাসীরা প্রবেশ করে ভোট বানচাল করার চেষ্টা করলে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিরোধের ব্যবস্থা কী ধরনের হতে পারে—এ প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, দেশবাসীর প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্যই আসলে আমরা তৈরি হচ্ছি। আমাদের এখনকার সব কর্মকাণ্ড এটাকে ঘিরেই। দেশে এই প্রথম নির্বাচনের নিরাপত্তা বিষযে পুলিশের ট্রেনিং চলছে। কারণ, এটা এমন একটা দায়িত্ব যার ওপর দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ এবং ভাগ্য নির্ভর করছে। আমরা এই দায়িত্বকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।

তিনি আরও বলেন, জনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি ফৌজদারি কার্যবিধিতে বিস্তারিত বলা আছে—নির্বাচন বানচালের চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে আইনসঙ্গতভাবে যতটুকু যাওয়া দরকার, আমরা ততটুকুই যাব। নির্বাচন কেন্দ্রিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনুমানিক দেড় লাখ পুলিশ নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে।