অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


লালমোহনে সুপারি চুরিতে বাধা দেওয়ায় বসতঘর ভাঙচুর, আহত -২


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৪শে অক্টোবর ২০২৫ রাত ০৮:২৪

remove_red_eye

১২৮

লালমোহন প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহন উপজেলায় সুপারি চুরিতে বাধা দেওয়ায় বসতঘরে ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়ে গত ৪ দিন ধরে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মো. রমিজ উদ্দি (৪০) নামে এক ভুক্তভোগী। এরআগে গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাঙাশিয়া স্লুইসগেট এলাকার মৃত আব্দুর রব মিয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রমিজ ওই বাড়ির বাসিন্দা।
আহত রমিজের ভাই মো. মনির অভিযোগ করে বলেন, বিগত কয়েকদিন ধরে আমাদের বাগানের সুপারি চুরি হচ্ছিল। যার জন্য আমার ভাই রমিজ বাগান পাহারা দেন। সোমবার পাঙাশিয়া এলাকার চৌকিদার বাড়ির আব্বাসের ছেলে মো. হাসিব ও ইউসুফের ছেলে মো. নাইমকে সুপারি চুরির সময় হাতেনাতে ধরেন আমার ভাই রমিজ। এরপর তিনি ওই দুইজনকে রাগারাগি করে ছেড়ে দেন। পরে আমি ওইদিন বিকেলেই হাসিব ও নাইমের অভিভাবকদের ঘটনাটি জানাই। এরপর রাত ১১ টার সময় হাসিবের বাবা আব্বাস মিয়া স্থানীয় শাহাবুদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে নিয়ে আমাদের বাড়ির দরজায় গিয়ে আমাকে বাসা থেকে ডেকে বের করেন। এরপর তারা আমাকে গালিগালাজ করে চলে যান। 
মনির আরো জানান, তবে মঙ্গলবার বিকেলে আব্বাসের ছেলে হাসিবের ছেলের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ১৬ জন লোক আমাদের বাড়িতে গিয়ে বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। তারা আমার ভাবি রোজিনাকেও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে বলেন আমাদের ডেকে আনতে। এরপর আমার ভাবি আমাকে এবং আমার ভাই রমিজকে ঘটনা জানালে আমরা স্থানীয় বাজার থেকে বাড়িতে রওয়ানা দিই। তবে পথিমধ্যেই আমাকে এবং আমার ভাই রমিজকে লাঠিসোঠা দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন আব্বাসের ছেলে হাসিবের নেতৃত্বে কয়েকজন। এ সময় তারা আমার ভাইয়ের সঙ্গে থাকা নগদ ২৫ হাজার ৭০০ টাকা নিয়ে যায়। হামলায় ভাইসহ আমি গুরুতর আহত হলে স্বজনরা আমাদের উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। গুরুতর আহত অবস্থায় এখনো আমার ভাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অথচ যারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে তারাই বৃহস্পতিবার আবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আমরা তাদের বিচার কামনা করছি। 
এই অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলাকারিদের বক্তব্য জানতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তারা কেউ কল রিসিভ করেননি। তবে কর্তব্যরত নার্স জানান তারা ভর্তির কাগজ পেয়েই হাসপাতাল থেকে চলে গেছেন। বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শাহনাজ পারভীন বলেন, রোগী এসেছে তাই তাদের ভর্তি দিয়েছি। তবে তারা যদি ভর্তি না থেকে চলে যায় তাহলে তাদের ভর্তি বাতিল করা হবে। বিষয়টি আমি ওয়ার্ডে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। শিগগিরই প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।