অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে চলেছে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭ই অক্টোবর ২০২৫ বিকাল ০৫:১৩

remove_red_eye

১৩৪

জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় পুলিশের সঙ্গে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সংঘর্ষ থামলেও উত্তেজনা এখনো পুরোপুরি কাটেনি। কয়েক দফা সংঘর্ষের পর বেলা আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারীরা সংসদ ভবন এলাকা ছেড়ে ধানমন্ডি ২৭, আসাদ গেট ও ফার্মগেট-খামারবাড়ি এলাকার দিকে চলে যায়।

 

এদিকে সংঘর্ষের পরপরই ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয় সেনাবাহিনী। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেই শুরু হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে মিরপুর রোড থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের প্রবেশমুখে সেনাবাহিনীর অবস্থান দেখা যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, সেনাসদস্যরা সড়কের প্রবেশমুখে ব্যারিকেড দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। সংসদ ভবনের দিকে প্রবেশ বন্ধ রেখেছে পুলিশ। এছাড়াও সেখানে র‍্যাব, বিজিবি, সোয়াট ও এপিবিএনের সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান বলেন, পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। সংসদ ভবনের সামনের অংশ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আশপাশে আন্দোলনকারীরা অবস্থান করছে। কয়েক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষ চলছে। সিনিয়র কর্মকর্তারা সবাই মাঠে আছেন, তাই এখনই বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। অভিযান অব্যাহত আছে।  

গ্রেপ্তারের কোনো নির্দেশনা আছে কিনা—জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো সে বিষয়ে কিছু জানি না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিস্তারিত জানানো হবে।

এর আগে দুপুর ১টা ২৫ মিনিটের দিকে সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেটে অবস্থান করা জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। আগে থেকেই আন্দোলনকারীদের একাংশ সংসদ ভবনের সামনে অবস্থান করছিল। সংসদ ভবনের ভেতরে থাকা অংশটি অনুষ্ঠানস্থলে যোগ দেয়।

একপর্যায়ে বাইরে থাকা যোদ্ধারা সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকে। পরে ভেতরে থাকা অংশটি বাইরে চলে আসে। এ সময় আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতল ও চেয়ার নিক্ষেপ করে। এরপরই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

টানা কয়েক দফা সংঘর্ষে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। অন্যদিকে, আন্দোলনকারীরা সড়কে আগুন ধরিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিক্ষোভ চালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।