অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় দুই গ্ৰপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত -১০


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩০শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ রাত ১১:৩৬

remove_red_eye

১৪৩

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার সদর উপজেলার আলীনগর ও চরসামাইয়া ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা মাদরাসা বাজারে সোমবার রাত ৯টার দিকে দুই ইউনিয়নবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা ভোলা, বরিশাল ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গাড়িসহ মালামাল মাপার স্কেলের ভাড়া পরিশোধ না করাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ ঘটে।
 
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাঠ ব্যবসায়ী আব্বাস পাটওয়ারীর ম্যানেজার রুহুল আমিনের ছেলে মহিনের সঙ্গে স্কেল মালিক ইভান পিন্টুর কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে চরসামাইয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. ফেরদৌস ঘটনাটি মীমাংসা করেন। কিন্তু মহিন বিষয়টি আলীনগর ইউনিয়নের রাজনৈতিক নেতাদের জানালে যুবদল সভাপতি প্রার্থী আব্দুস সালামের নেতৃত্বে ইভান পিন্টুর পরিবারের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় ইভান পিন্টুর বাবা জুলু (৪৫), চাচাতো ভাই হিরণ (৪০), সুমন (৩৮), গোলাম কিবরিয়া (২৫)সহ ৫-৬ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। পাশাপাশি মাদরাসাবাজারের ১০-১২টি দোকানও ভাঙচুর করা হয়।
খবর পেয়ে চরসামাইয়ার লোকজন পাল্টা হামলা চালালে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে যুবদল নেতা আব্দুস সালাম ও মাসুমসহ আরও অন্তত ৫ জন আহত হন। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ইভান পিন্টুর চাচা মো. ফেরদৌস মেম্বার বলেন, তাঁদের স্কেলে কাঠ মাপলেও আব্বাস ভাড়া পরিশোধ করেননি। এভাবে আটবারে প্রায় এক হাজার ২০০ টাকা বাকি জমে যায়। টাকা চাইতে গেলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে মহিন লোকজন নিয়ে তাঁদের পরিবারের ওপর হামলা চালায় এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।
আব্দুস সালামের স্ত্রী জানান, তাঁর স্বামীসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের বরিশাল নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
ওই রাতেই আহতদের দেখতে ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসিফ আলতাফ হাসপাতালে যান। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ফ্যাসিস্টদের দোসরদের ইন্ধনে সামান্য ঘটনাকে সংঘর্ষে রূপ দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সঠিক তথ্য উদঘাটন করবে।’
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাত মো. হাছনাইন পারভেজ বলেন, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেনি।