অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


হাসিনার মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন বদরুদ্দীন উমর


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:১৫

remove_red_eye

৮৫

২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলায় সাক্ষী ছিলেন সদ্যপ্রয়াত বদরুদ্দীন উমর। তিনি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্যও দিয়েছেন।

তবে ট্রাইব্যুনালে এসে জবানবন্দি দেননি।

 

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন এ তথ্য জানান।  

শেখ হাসিনা ছাড়াও এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আসামি। তবে চৌধুরী মামুন অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী) হিসেবে ইতিমধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৩৬ সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়েছেন।

এক মামলায় নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইনকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, শেখ হাসিনার মামলার ২ নম্বর সাক্ষী বদরুদ্দীন উমর মারা গেছেন। এ ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালে উনার সাক্ষ্যগ্রহণ হলো না। তাই এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ (প্রসিকিউশন) ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে কিনা? জবাবে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন বলেন, বদরুদ্দীন উমর একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হিসেবে ছিলেন মামলায়। তিনি এখনো ট্রাইব্যুনালে এসে সাক্ষ্যপ্রদান করেননি। তবে তিনি এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন।  

প্রসিকিউটর আরও বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের ১৯ এর ২ ধারা অনুযায়ী, কোনো সাক্ষী তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্য প্রদানের পর ট্রায়াল স্টেজে (বিচার চলাকালে) যদি মারা যান; এটা (সাক্ষীর মৃত্যু) যদি ট্রাইব্যুনাল নিশ্চিত হন তখন প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া সাক্ষ্য ট্রাইব্যুনাল গ্রহণ করতে পারেন। এ রকম সুযোগ আইনে আছে। কিন্তু প্রসিকিউশন এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি, আদৌ উনার (বদরুদ্দীন উমরের) সাক্ষ্য ট্রাইব্যুনালে এভাবে উপস্থাপন করবেন কিনা। এটা চিফ প্রসিকিউটর সিদ্ধান্ত নেবেন।

এর আগে সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লেখক-গবেষক ও বামপন্থী রাজনৈতিক বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যু হয়।  





আরও...