অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় শেষ সময়ে জমে উঠেছে পশুর হাট, মাঝরি গরু’র চাহিদা বেশী


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩০শে জুলাই ২০২০ সকাল ১১:২৬

remove_red_eye

১৮৭১

আকতারুল ইসলাম আকাশ \ ভোলায় শেষ সময়ে জমে উঠেছে গরুর হাট। সাধারণ ক্রেতাদের পাশাপাশি বেপারীরাও গরু কিনছেন চাহিদা মতো। তবে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকলেও বেচা বিক্রি নেই বড় গরুর। এতে বড় গরুর বিক্রেতাদের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশা। আর ছোট ও মাঝারি গরুর দাম কম হওয়ার পরেও তা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন লাভ তো দূরের কথা হাজার হাজার টাকার মতো লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। তবুও অনেকটা বাধ্য হয়ে বেচা বিক্রি করছেন তারা। বুধবার সদর উপজেলার পরানগঞ্জ গরুর হাট ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।


করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষ আয় উপার্জনের কথা চিন্তা করে নিজের সাধ্যমতো ছোট ও মেঝো গরুর প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। প্রতিবছর যাঁরা বড় গরু দিয়ে কোরবানি দিতেন এখন তারাও ঝুঁকছেন ছোট ও মেঝো গরুর দিকে।


হাটে গরু নিয়ে আসা বিক্রয়তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের আয় উপার্জন বন্ধ হাওয়ায় নিজেদের সাধ্যমতো বেশির ভাগ ক্রেতাই ছোট ও মাঝারি গরু কিনছেন। দু'একজন ছাড়া বড় গরু তেমন কেউই কিনছেন না। তবে বিক্রেতারা জানান, হাটে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি থাকলেও তার ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না বিক্রেতারা। এতে হতাশ প্রকাশ করেন তারা। অন্যদিকে বড় গরু তেমন একটা বিক্রি না হওয়ায় একেবারেই হতাশা ও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বড় গরুর মালিকরা।


হাটে গরু নিয়ে আসা বিক্রেতা আনিসুর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবারে ইলিশা হাটে তার লাল রংয়ের একটি ষাঁড়ের দাম বলেছিল ৯৫ হাজার টাকা। গত মঙ্গলবার হাওলাদার হাট বাজারে সেই গরুর দাম উঠেছে ৮০ হাজার টাকা। তবে দিনদিন ক্রেতারা দাম কম বলায় ও দিনদিন গরুর দাম কমে যাওয়ায় আজকে তিনি সেই ষাঁড়টি বিক্রি করেছেন ৭৫ হাজার টাকায়। শুধু আনিসুর রহমানই নয়। আজকে হাটে গরু নিয়ে আসা অনেক বিক্রেতাই কম দামে গরু বিক্রি করেছেন বলে জানা গেছে।


হাটে বড় গরু নিয়ে আসা খামারি জসিম উদ্দিন জানান, কয়েক সপ্তাহ আগেও তার জমিদার নামে ষাঁড়টির দাম উঠেছিল ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তবে আজকের হাটে তা মাত্র ২ লাখ ১০ হাজার দাম বলছেন ক্রেতারা। তিনি জানান, বড় গরু তেমন একটা কেউই কিনছে না। তবে বাধ্য হয়ে অনেকেই কম দামে দু'একটা বিক্রি করছেন।


এদিকে পরানগঞ্জ গরুর হাটের ইজারাদার মো. কামাল পাশা জানান, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত প্রায় দুইশো গরুর বেচা বিক্রি হয়েছে। যাঁর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে মেঝো ও ছোট গরু। সন্ধ্যা পর্যন্ত আরও বেচা বিক্রির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বাজার পরিদর্শন করেছেন ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।  তিনি বাজারে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ও মাস্ক ব্যবহার করে গরু বেচাকেনার জন্য সকলের প্রতি আহŸান জানান ।