অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


দৌলতখানে হাটে গরু বেশি ক্রেতা কম


দৌলতখান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৮শে জুলাই ২০২০ রাত ১০:২৮

remove_red_eye

৬৩৮



মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

  
 দৌলতখান প্রতিনিধি : দৌলতখানে কোরবানির পশু হাটে দেশীয় পশুর বিপুল পরিমাণ সরবরাহ থাকলেও এখনো জমে উঠেনি বেচা কেনা । যে পরিমানে পশু হাটে রয়েছে সেই হারে ক্রেতার সংখ্যা এখনো অনেক কম। যেসব ক্রেতা হাটে গিয়েছে তারা বাজেটের সঙ্গে পছন্দের পশু মেলাতে না পারায় তারা হাটে ঘোরাঘুরি করছেন। শেষ সময়ে দাম কমার অপেক্ষায় আছেন ক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা কাঙ্খিত দামে পৌঁছা পর্যন্ত পশু ছাড়ছেন না। এদিকে দৌলতখান বাজারের পৌর শহরে পশুর হাট-বাজারগুলোতে অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য ইজারাদার মাইকে বারবার ঘোষণা দিয়ে ব্যর্থ হচ্ছেন। বিপুল লোকসমাগমের কারণে এ ঘোষণা কেউ কর্ণপাত করছেন না।

দৌলতখানের কয়েকটা পশুরহাটে  ঘুরে দেখা যায়, নানা দাম ও রঙের পশু বাজারে উঠেছে। তার মধ্যে দেশীয় পশুর সরবরাহ অন্যান্য বছরের তুলনায় বাজারে বেশ ভালো। কিন্তু বিক্রেতারা ক্রেতা সংকটের কারনে হতাশায় রয়েছেন। দুপুর  ১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাটে অবস্থানের পর বিক্রি না হওয়ায় পশু নিয়ে আবার বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তবে পর্যাপ্ত পশু থাকলেও আশানুরূপ ক্রেতার দেখা মিলছে না এখনও।  হতাশায় ভুগছেন পশু খামারি ও ব্যবসায়ীরা।
এদিকে দুটি গরু  নিয়ে বিপাকে আছেন চরখলিফা ইউনিয়নের  কাঞ্চন । তিনি জানান, প্রতিবারই দুটি করে গরু লালন-পালন করেন। গত বছর ঈদের এক সপ্তাহ আগে বাড়ি থেকেই সেগুলো বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এবার করোনার কারণে বাড়িতে ক্রেতা তেমন মেলেনি। তিনি গরু দুটি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। একই ইউনিয়নের  গরু বিক্রেতা রুহুল আমিন মাষ্টার জানান, করোনা সংকটে গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে গরু পালন কঠিন হয়ে গেছে। ক্রেতা নেই বলে গরু বিক্রি করতে পারছেন না। দিন যত এগুচ্ছে চিন্তা বেড়ে যাচ্ছে।
ক্রেতা আমির হোসেন বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার দাম কম। করোনা ভাইরাসের কারনে এবছর গরু কেনার জন্য বাজেট ও কম আমাদের। আমরা গরু দেখছি। আজ পছন্দ হলে কিনবো, না হলে আরও একটা বাজার দেখার পর কিনবো। তবে এ বছর ছোট গরু দেখে কিনবো। এখনও তো কোরবানির ৩ দিন বাকি আছে।
দৌলতখান বাজারের কোরবানির হাটের ইজারাদার আলাউদ্দিন ভূইয়া জানান, হাটে আশপাশের এলাকার প্রচুর গরু উঠেছে। স্থানীয় গরুই বেশি, কিন্তু বিক্রি কম। ফলে এবার লাভ না হয়ে ক্ষতি হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেন।
এ বাজারে দুইদিন পরপর হাট বসলেও আগামীকাল হাটে কাঙ্খিত বেচা-বিক্রি হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার্থে আমাদের কমিটির লোকজন প্রবেশ দ্বারে দাঁড়িয়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাস্ক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি। বেলা ২টার পর বিপুল ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমের কারণে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।’
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  বজলার রহমান জানান, স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার্থে পশুরহাটে আমাদের পুলিশের একটি টিম তৎপর রয়েছে।